ঈদযাত্রার ১৩ দিনে দেশে দুর্ঘটনায় ২৯৮ জন নিহত এবং ৮৬০ জন আহত হয়েছেন। গত ৩০ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে ২৫৬টি দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

শনিবার(১৫জুন)ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০১৯ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ঈদের চেয়ে এবারের ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক ছিল।

গত বছরের তুলনায় এবার সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে। সড়ক দুর্ঘটনা ১৯.৩৯ শতাংশ, নিহতের সংখ্যা ২৪.১৭ শতাংশ ও আহতের সংখ্যা ৪৮.৯৯ শতাংশ কমেছে। দুর্ঘটনার ৭৬টি ঘটেছে মোটরসাইকেলের সঙ্গে অন্যান্য যানবাহনের সংঘর্ষে- যা মোট দুর্ঘটনার ৩৩ শতাংশ। অন্যদিকে পথচারীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা ৪৫ শতাংশ ঘটেছে। আগামী ঈদে এ দুটি দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলে প্রায় ৮০ শতাংশ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৭.৪৩ শতাংশ বাস, ২৩.৮৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৩.৫৯ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৮.২৫ শতাংশ প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস, ৭.৬৬ শতাংশ অটোরিকশা, ৪.৪২ শতাংশ নছিমন-করিমন এবং ৪.৭১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। দুর্ঘটনার ২৯.৭৪ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, পথচারীকে গাড়ি চাপা ৪৪.৮২ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে ১৯.৩৯ শতাংশ ও অন্যান্য অজ্ঞাত কারণে ৬.০৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে।সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়য়া বলেন, প্রতিটি প্রাণ মূল্যবান। মৃত্যুর সংখ্যা বড় বিষয় না। মানুষের সৃষ্ট অব্যবস্থাপনার কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। এটাকে কমানোর জন্য এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।