সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত দুইদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে সুনামগঞ্জের শেষ সীমান্তে ভারতের মেঘালয় রাজ্য হওয়ায় পাহাড়ি ঢলেও দ্রুত পানি বাড়ছে। টানা বৃষ্টিপাতের কারণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছেন জলাবদ্ধতা।শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সুনামগঞ্জে গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪১৫ মিলিমিটার। আবহাওয়া পূর্বাভাস থেকে সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে বৃষ্টিপাত আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতি ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি গড়ে ৮ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। শহরের সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত কিছু এলাকার সড়কে পানি ওঠলেও মূল শহরে এখনও পানি প্রবেশ করতে পারেনি। তবে এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে যেকোন সময় শহরে পানি ঢুকে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। শহরের আরপিন নগর, নতুনপাড়া, ওয়েজখালীসহ কয়েকটি নিম্ন এলাকার সড়কে পানি ওঠেছে।

এছাড়া জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলা, লক্ষ্মীপুর, সদর ও বাংলাবাজার ইউনিয়নের সবক’টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেখানকার অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। একইসঙ্গে জেলার বিশ্বম্ভপুর ও তাহিরপুরে কয়েকটি গ্রাম হাওরে পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে।সুনামগঞ্জ শহরের উত্তর আরপিন নগরের বাসিন্দা আফজাল হোসেন বলেন, যে পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নিশ্চিত বন্যা হয়ে যাবে। এখনই তো সড়কে পানি ওঠে গেছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ভূঁইয়া বলেন, পানি এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়লে যেকোনও সময় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শহরে পানি প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোনিয়া সুলতানা বলেন, এ উপজেলায় কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেখানে মানুষদের শুকনা খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জরুরি প্রয়োজনে সেখানে যেকোনও প্রকার অভিযোগ দিতে পারবেন এলাকার বাসিন্দারা। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।