সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের বিত্তশালী শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতৌমকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন তার স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল হুসেইন। তবে যাওয়ার সময় ‘নতুন জীবন’ শুরু করতে নিয়ে গেছেন তিন কোটি ১০ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ৩৩২ কোটি ৮২ লাখ ১৫ হাজার ৩০৭ টাকা। সঙ্গে পুত্র ও কন্যাকেও।

ব্রিটেনের একটি পত্রিকার খবর অনুযায়ী, প্রিন্সেস হায়া সন্তানদের নিয়ে জার্মানিতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং সেখানে পাকাপাকি থাকার ব্যবস্থার করার জন্য আবেদন করেছেন। সঙ্গে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। তবে কেন তিনি এমন করলেন সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি।

এদিকে ৭ বছর বয়সী পুত্র জায়েদ ও ১১ বছর বয়সী কন্যা আল জালিলাকে ফিরত দেয়ার জন্য বার্লিনের কাছে অনুরোধ করেছেন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম। কিন্তু বার্লিন শাহজাদা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। উলটে তারা বলেছেন প্রিন্সেস হায়াকে তারা নিরাপত্তা দেবেন। এই ঘটনার ফলে আরব আমিরাত ও জার্মানির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। স্ত্রী এরকম আচরণের নিন্দা জানিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স। তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছেন।

প্রিন্সেস হায়া জর্ডানের বাদশাহ কিং আবদুল্লাহর বোন। ২০০৪ সালে তিনি দুবাইয়ের বাদশাহকে বিয়ে করেন। দু’জনের প্রায় ১৫ বছরের সংসারে এসেছে আল জালিলা ও জায়েদ। ফেব্রুয়ারি থেকে প্রিন্সেস হায়া’কে দেখা যাচ্ছিল না। গত বেশ ক’মাস ধরে শেখ মোহাম্মদের পরিবারে দ্বন্দ্বের খবর ছড়িয়েছে সংবাদমাধ্যমে। এই দ্বন্দ্বের জেরেই প্রিন্সেস হায়া ‘স্বামী-ত্যাগ’ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

৬৯ বছর বয়সী শেখ মোহাম্মদ আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং একই সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রীও। তিনি দুবাইয়ের শাসকও। ধারণা করা হয় তিনি ৯০০ কোটি ডলারের সম্পত্তির মালিক।