খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি তে গত ৬ বছরে বিদ্যুৎ সরবরাহে অভুতপূর্ব সাফল্য এসেছে। মহালছড়িতে আগে যেখানে দৈনিক ৬/৭ ঘন্টা লোডশেডিং হতো এখন সেখানে লোডশেডিং আর হয় না বললে চলে। আগে যেখানে সিস্টেম লস ছিলো ৫১.৪ এখন তা কমে ২০.০১। আগে সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ লাইন ছিল দুইটা আর এখন কাজের সুবিধার্তে ও সেবার মান বৃদ্ধির জন্য নতুন একটি লাইন বের করা হয়েছে। তাছাড়া সাবস্টেশনে কোন প্রোটেকশন ছিল না,বর্তমানে সাবস্টেশনে এসিআর কন্ট্রোল সংযোজন করে প্রতিটা লাইনকে নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। মহালছড়ির বিদ্যুৎ বিতরনে এসেছে শৃঙ্খলা,কমেছে গ্রাহক হয়রানি, আগে যেখানে সমস্যা সমাধানের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো এখন সমস্যা সমাধান হয় দ্রুত, বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় হচ্ছে দ্রুত,আগে যেখানে আদায় হতো ৫৬.০১% এখন সেখানে আদায় হয় ৮১.০২%।

আর এই সাফল্যর পিছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন মহালছড়ির বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী সুভাষ চৌধুরী। ব্যাক্তিগতভাবে তিনি তিন সন্তানের জনক ,মহালছড়ির বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নতিতে তিনি যেভাবে সফল ঠিক সেই ভাবে সফল তিনি নিজ পরিবারের মধ্যে, তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ার, মেজো মেয়ে ফিনেন্স এন্ড ব্যাংকিং বিষয় নিয়ে শেষ বর্ষে অধ্যায়নরত,ছোট মেয়ে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে ৩য় বর্ষে অধ্যায়নরত।

সুভাষ চৌধুরী চাকুরীতে যোগদান করেছেন ০১/০৪/১৯৯১ইং সালে। বিভিন্ন জেলা উপজেলায় কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে পেয়েছেন অজস্র মানুষের ভালোবাসা। মহালছড়ির বিদ্যুৎ বিভাগের যখন খারাপ অবস্থা ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি মহালছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন ২০/১১/২০১৩ইং তারিখে। তখন থেকেই তিনি থেমে থাকেন নি। মহালছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়নের জন্য ঘুরে বেড়িয়েছেন এই অফিস থেকে অন্য অফিস। চষে বেড়িয়েছেন মহালছড়ি উপজেলার প্রত্যেকটি যাইগা,পরিশ্রম করেছেন নিজ হাতে। নিজ যোগ্যতায় গড়ে তুলেছেন দক্ষ কর্মী বাহিনী,যারা রাত দিন পরিশ্রম করে বিদ্যুৎ বিভাগকে সচল রেখেছে।
সোসিয়াল মিডিয়াই মহালছড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহের অবস্থা জানিয়ে দেওয়ার জন্য সবার কাছে তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়,যেই সুবিদা আগে কখন ও পাইনি মহালছড়ি এলাকাবাসী। কোনো সমস্যা হলে মুহুর্তেই তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে সবার কাছে তথ্য পৌছে দেন।

এই জন্য মহালছড়ি উপজেলাবাসী সবাই তার কাছে কৃতজ্ঞ। সর্বত্রই তার প্রশংসা। সবার একটাই দাবি তিনি আরো বেশিদিন মহালছড়ির বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বে থাকুক,তিনি থাকলে মহালছড়িবাসী আরো উপকৃত হবে,বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা আরো উন্নয়ন হবে। ফেসবুকে উনার পোস্টে স্বপ্ন পূরনের আশায় নামের এক আইডি লিখেছেন মহালছড়ি উপজেলার প্রত্যেকটি মানুষের স্বীকার করতে হবে যে আপনি আসার পর যতটুকু সুবিধাভোগ করেছে এখন পর্যন্ত এর আগে হয়তোবা তিন ভাগের এক ভাগ ও পায়নি সুবিধা অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে আমাদেরকে এত সুন্দর বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়ার জন্য। উজ্জয়নি চাকমা লিখেছেন দাদা আপনার তুলনা হয় না। সাথোয়াইঅং মারমা লিখেছেনআপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ,নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য। পরিশেষে সবার একটাই আশা তিনি মহালছড়িতে থাকবেন আরো অনেকদিন,মহালছড়ির বিদ্যুৎ বিভাগের অবস্থা আরো উন্নত করে অন্যান্য উপজেলার চাইতে নিয়ে যাবেন অন্য এক উচ্চতায়।

মিল্টন চাকমা কলিন,(খাগড়াছড়ি),মহালছড়ি প্রতিনিধি