মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাটে সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার ৩০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় প্রসূতি হাফসা বেগমকে (২২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর প্রভাতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বরইতলা গ্রামের সাদ্দাম শেখের স্ত্রী হাফসা বেগম।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগে জানা যায়, হাফসা বেগমের রোববার দিবাগত রাত ১২টার সময় প্রসব বেদনা ওঠে । পরে দ্রুত তাকে টেকেরহাট সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় হাসপাতালে কোন ডাক্তার না থাকায় কথিত নার্স ও আয়া দিয়ে সস্তান প্রসব করানোর জন্য চেষ্টা করা হয়। টানা হেঁচড়া করে বাচ্চা বের করার সময় বাচ্চা মাথায় আঘাত পায়। পরে রাত একটার দিকে নবজাতকের মৃত্যু ঘটে।

প্রসুতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাড়াহুড়ো করে তাকে অন্যত্র চিকিৎসার কথা বলে হাফসা বেগমকে সিটি হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। মুমূর্ষু অবস্থায় হাফসা বেগম এখন ফরিদপুর বেসরকারী প্রভাতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

হাফসার মামা মাসুদ শেখ বলেন, ‘ডাক্তার না থাকায় নার্স ও আয়া দিয়ে টানা হেঁচড়া করে আমার ভাগ্নির বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে। ভাগ্নির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।

সিটি হাসপাতালের মালিক পক্ষের একজন রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের হাসপাতালে আনার আগেই বাচ্চাকে টানাহেচঁড়া করা হয়েছে। পরে অবস্থা খারাপ দেখে আমাদের এখানে ভর্তি করে। আমরা বাচ্চা প্রসব করানোর পরে দেখি বাচ্চা মৃত। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ চন্দ্র মণ্ডল জানান, ঘটনা আমি শুনেছি। সিটি হাসপাতালে গিয়ে সবকিছু জেনে আমি ব্যবস্থা নিবো।

সাবরীন জেরীন মাদারীপুর।