লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ায় বড় বেকায়দায় পড়েছেন ধর্ষিতার পিতা। প্রতি পক্ষরা মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসিয়ে ধর্ষিতার পিতাকেই জেল হাজতে প্রেরনে ঘটনায় জেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সোমবার রাতে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ধর্ষিতার পিতা ভ্যান চালক মতিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছেন।

জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের বনচৌকি গ্রামের ভ্যান চালক মতিয়ার রহমানের ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়েকে ধর্ষন করেন ওই গ্রামের মৃত ফরিমুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান (৩০)। এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রী বাদী হয়ে গত ৫ মার্চ ২০১৮ সালে আব্দুর রহমানসহ জড়িত আরও দুই জনকে আসামী করে লালমনিরহাট আদালতে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছেন। এ ঘটনায় জের ধরে আব্দুর রহমান ও তার দলবল ধর্ষন মামলা তুলে নিতে ভ্যান চালক মতিয়ার রহমানকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন।

এ ঘটনার পর গত ২৮ আগস্ট ২০১৯ তারিখে হাতীবান্ধা উপজেলার বনচৌকি সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকে সাথে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সীমান্তে ভারতীয় কয়েকজন নাগরিক আব্দুর রহমানকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে সীমান্তে ফেলে পালিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে সীমান্তের ৯০৮ নং মেইল পিলারের কাছে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্য পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ ঘটনায় আব্দুর রহমান পুর্বে শত্রুকার জেরে ধর্ষন মামলা বাদীর পিতা মতিয়ার রহমান ভ্যান চালকেসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মারপি ও জখমের একটি মামলা লালমনিরহাট আদালতে দায়ের করেন। মামলার পর গত সোমবার হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ভ্যান চালক মতিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান।

এ বিষয় হাতীবান্ধা বনচৌকি সীমান্তেন বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদাল তোজাম্মেল হক বলেন, গত ২৮ আগস্ট ২০১৯ তারিখে সীমান্তে আব্দুর রহমানে উপর কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক তার উপর হামলা করে। এ বিষয়ে আমার পতাকা বৈঠকের মধ্যে বিএসএফকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ওই আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুইটি মাদক মামলা রয়েছে।

ভ্যান চালকের মতিয়ারের স্ত্রী আনঞ্জু আরা বলেন, আমরা খুব অসহায় আব্দুল রহমানে নামে মামলা করায় সে প্রতিনিয়তে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। বাড়িতে থাকতে দিচ্ছিনে না। আবার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামি কে জেলে পাঠিয়েনে। এখন সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি।

ভেলাগুড়ি ইউনিয় চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন জানান,ধর্ষন মামলার জের ধরে আব্দুল রহমান ভ্যান চালক মতিয়ারের নামে মিথ্যা মামলা করে তাকে হাজতে পাঠিয়েছেন। এবিষয়ে থানার ওসি সাহেবের সাথে আমার কথা হয়েছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালতে মামলা করায় আমরা আসামীকে গ্রেফতার করছি। বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে পাঠাব।