ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও সহ-সভাপতি আনামুল হক আরমানকে অসামাজিক কার্যকলাপ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে দলের কার্যনির্বাহী কমিটি। এর আগে রোববার ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান তখন বলেন: চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের চার দিনের মাথায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র‌্যাব। ওইদিনই রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের ক্যাসিনোয় অভিযান চালানোর পাশাপাশি গুলশান থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে নিজের অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগ নেতা জিকে শামীমকে। যুবলীগের এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়।

এই অভিযানে অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ আয়ের জন্য ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের নামও উঠে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেপ্তারের পর দল থেকেও বহিষ্কার হলেন সম্রাট ও তার সহযোগী আনামুল হক আরমান।