থাইল্যান্ডের একটি শপিংমলে সেনা সদস্যের গুলিতে ২০ জন নিহত হয়েছে। এলোপাতাড়ি গুলিছোড়া দেশটির সেই সেনা সদস্য নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। খবরে বলা হয়, রোববার সকালে ওই সেনা সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, ৩২ বছর বয়সী জাকরাপাথ থোম্মাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিরাপত্তাবাহিনীর একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, পুলিশ ওই সেনা সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে। জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৮ জনকে। তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত ছিলেন। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে সেনা সদস্য জাকরাপাথ থোম্মা নিহত হওয়ার বিষয় দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ওই সেনা তার ঘাঁটি থেকে একটি হামভি চুরি করে। ওই গাড়িটি চালিয়ে সে প্রদেশের কোরাত শহরে যায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, ওই সেনা সদস্য শহরের একটি বৌদ্ধ মন্দিরে গুলি চালায়। পরে সে শপিংমলে প্রবেশ করে সেখানেও গুলি চালায়। পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, বন্দুকধারী মেশিনগান ব্যবহার করেছে এবং নিরাপরাধ লোকদের ওপর গুলি চালালে অনেকে আহত ও নিহত হয়। নাখোন রাচাসিমার সামরিক ঘাঁটির সেকেন্ড আর্মি রিজিয়নের কমান্ডার লেফেটেনেন্ট জেনারেল থানায়া কৃতিসরন জানান, হামলাকারী করপোরাল জাকরাপন্থ থামা বলে চিহ্নিত করা গেছে। সে সুরাথামপিথাক ক্যাম্পে ছিল।

ব্যাংকক পোস্ট জানিয়েছে, করপোরাল জাকরাপন্থ ক্যাম্পে তার কমান্ডার, এক সেনা ও ৬৩ বছরের এক নারীকে হত্যা করে। এরপর সে ঘাঁটি থেকে অস্ত্র ও গুলি নিয়ে হামভি চালিয়ে কোরাতের টার্মিনাল ২১ শপিংমলে গিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শপিংমলের বাইরে হামলাকারী যখন গুলি ছুড়ছিল লোকজন আতঙ্কে দিগবিদিক হয়ে ছোটাছুটি করছিল।