মায়ের ভাষা বাংলা ও ৫২র ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশের প্রথম প্রহরেই সারাদেশের মানুষ ছুটে গেছেন শহিদ মিনারে। ফুল ও ব্যানার হাতে শিশু-কিশোরসহ সব পেশা ও বয়সের মানুষ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নিজ নিজ এলাকায়।

যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে চট্রগ্রাম ফেনী, কুড়িগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, মোংলা, চাঁদপুর, বরিশাল, গাংনী, নোয়াখালী, জয়পুরহাট, শরীয়তপুর, মঠবাড়িয়া, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, হিলি, নাটোর, নরসিংদীসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়।

চট্টগ্রাম:বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে চট্টগ্রামবাসী।শুক্রবার একুশের প্রহরে প্রহরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুলিশের পক্ষ থেকে সশস্ত্র অভিবাদন জানানো হয়।

পরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।এরপর শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে হাজারো মানুষের ঢল নামে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ সবাই ফুল নিযে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন ভাষার জন্য জীবনদানকারী শহীদদের।রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ; ওই রক্তের দামে এসেছিল বাংলার স্বীকৃতি আর তার সিঁড়ি বেয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।

বাঙালির নেই আত্মত্যাগের দিন এখন কেবল আর বাংলার নয়, প্রতিটি মানুষের মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষার দিন। রাষ্ট্রীয় সীমানা ছাড়িয়ে ২১ ফেব্র“য়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। রাত ১২টা ১ মিনিটে শহিদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাফর আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ অন্যান্যরা। এছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা: যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষা শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে হাজারও মানুষের ঢল নামে। রাত ১২টা ১ মিনিটেই ভাষা শহিদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ও অন্যান্যরা।

মোংলা: মাতৃভাষা দিবসে হাজার মানুষের ঢল নামে মোংলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। রাত ১২টা ১ মিনিটে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার শ্রদ্ধা অর্পণ করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নানসহ অন্যান্যরা।

বরিশাল: বিনম্র শ্রদ্ধা ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান একুশ পালিত হয়েছে বরিশালে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহিদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। দিবসের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ।

এরপর বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পুলিশ কমিশনার, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনীতিক দল, ছাত্রসংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান। একুশ ঘিরে বরিশালে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বজায় রয়েছে পুলিশের কঠোর নজরদারি।

নোয়াখালী: নোয়াখালীতে মহান একুশে ফেব্র“য়ারির প্রথম প্রহরে শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, জেলা আইনজীবী সমিতি, জাতীয় পার্টি, জেলা বাসদ (মাকর্সবাদী), জাসদ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন ফুল-ব্যানার নিয়ে হাজির হয় শহিদ মিনারে।

ফেনী : ফেনীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ দিবস ও মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় ২১’র প্রথম প্রহরে শহরের ট্রাংক রোড শহিদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সাধারণ জনতা।

১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী বীর শহীদদের সম্মানার্থে প্রথমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান ফেনী -২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। পরে ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান এর নেতৃত্বে ফেনী জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার মো: নুরুন্নবী’র নেতৃত্বে ফেনী জেলা পুলিশ প্রশাসন শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

এছাড়াও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ফেনী, ফায়ার সার্ভিস, সড়ক বিভাগ, ফেনী পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পিবিআই, শিল্পকলা একাডেমী, ফেনী ইউনিভার্সিটি, হাইওয়ে থানা পুলিশ,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট,ফেনী ক্রীড়া সংস্থা, যুব উন্নয়ন, বিদ্যুৎ বিভাগ, খাদ্য বিভাগ, ফেনী প্রেস ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি,অগ্রণী ব্যাংক, লায়ন ক্লাব, লিও ক্লাব, বাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি , জন্মাষ্টমী পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি।

এ সময় শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় মানুষের ঢল নামে। মূহুর্তের মধ্যে পুরো শহিদ মিনার বেদী ফুলে ফুলে ভরে যায়।

কলাপাড়া, কলাপাড়ায় একুশে ফ্রেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে অনেককে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। এ নিয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকে আবার রাতে ফুল দিতে না পেরে ফিরে গেছেন। এরা শুক্রবার সকালে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, ভাষা শহীদদের সম্মান জানাতে কলাপাড়া পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে রাত ১২ টার আগেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়। রাত ১২ টা ০১ মিনিটে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. মহিব্বুর রহমান সবার উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে সর্বপ্রথম শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কে কার আগে বেদিতে ফুল দিবেন এ নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ফটোশেসন আর সেলফি তোলার বিষয়টি ছিল দুঃখজনক। এ সময় শহীদ মিনারের পাদদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ গণমাধ্যমকর্মীরা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। গণমাধ্যমকর্মীরাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শহীদ মিনারের মুল বেদিতে উঠতে না পেরে শহীদ মিনারের সিঁড়িতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। কেউ কেউ ফুল না দিয়ে ফিরে গেছেন। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সময় কোনো সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা না থাকায় অনেকে উপজেলা প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাত সাড়ে ১২ টার সময় এ নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে তীব্র প্রতিবাদ ব্যক্ত কেেরছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানান, একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দিতে না পেরে ফিরে গেছেন। ফের শুক্রবার প্রত্যুষে শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাসেও পালিত হয় ভাষা শহিদ দিবস। রাত ১২টা ১ মিনিটে শহিদ মিনারে নোবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে, নোবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদ, ইনস্টিটিউট, হল, বিভাগ, শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী প্রতিনিধি এর পক্ষ থেকে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

গাংনী: আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্র“য়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…। প্রভাতফেরির মিছিলে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে মেহেরপুরের গাংনীতে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। শহিদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানসহ অন্যান্যরা।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জেলার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া দিনের প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদ বেদীতে।

গাজীপুর: মহান ভাষা শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহিদ মিনারে ফুল দিয়েছেন জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম। এছাড়া, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, ভাষা শহিদ বরকতের পরিবার, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন, গাজীপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পাবনা ঃ যথাযথ মর্যাদায় পাবনায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে পালন হচ্ছে। রাত ১২ টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর দিবসের প্রত্যুষে পাবনা প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিএনপি, জাতীয়পাটি, ওয়ার্কাসপার্টি, স্কয়ার, ইউনিভার্সাল গ্র“প, আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নানা পেশাজীবি সংগঠন ভাষা শহিদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এছাড়াও সরকারি বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, হাতের লেখা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

একইভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা, দোয়া-প্রার্থনা, প্রভাতফেরি, শিশু-কিশোরদের কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, ভাষার গানের প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, সম্মননা প্রদান, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনসহ নানা আয়োজনে ২১শে ফেব্র“য়ারি পালিত হচ্ছে, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল, হিলি, নাটোর নরসিংদীসহ সারাদেশে।

IC : Sarabangla91