গাজীপুরে ভাগ্নে বধূকে বাবার বাড়ি থেকে ফিরিয়ে নিতে গিয়ে এক হোটেল কর্মচারী নিহত হয়েছেন। পারিবারিক শালিসী বৈঠকে দু’পক্ষের হাতাহাতি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভাগ্নে বধূর মা, দাদী ও ফুপুসহ তিন নারীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। নিহতের নাম জসিম উদ্দিন শেখ (৫০)। তিনি গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি আমবাগ এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ শেখের ছেলে। জসিম স্থানীয় ভোজন বিলাস হোটেলের কর্মচারী ছিলেন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, গাজীপুরর মহানগরের আমবাগ এলাকার মৃত জাফর আলীর ছেলে রাসেল মিয়ার সঙ্গে প্রায় বছর খানেক আগে স্থানীয় পারিজাত সেলিম নগরের (হরিণাচালা) শয়তান মার্কেট এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ফারিয়ার বিয়ে হয়। গত কিছুদিন আগে অন্তঃসত্ত্বা ফারিয়া তার বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। কিন্তু কয়েকদিন কেটে গেলেও সে স্বামীর বাড়ি ফিরে যায় নি। এর আগেও সে একাধিকবার বাবার বাড়ি এসে স্বামীর বাড়ি ফিরে যেতে চায়নি। ফারিয়াকে ফিরিয়ে নিতে মঙ্গলবার বিকেলে খালু জসিম উদ্দিন শেখসহ স্বজনদের নিয়ে রাসেল মিয়া তার শ্বশুড় বাড়ি যায়। এসময় ফারিয়া স্বামীর বাড়িতে যেতে না চাইলে পরিবারের লোকজন শালিসী বৈঠকে বসেন। এসময় দু’পক্ষের মাঝে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সময় জসিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোনাবাড়ি শরীফ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানার এসআই সাইদুর রহমান ভুইয়া জানান, বুধবার নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় ফারিয়ার মা শাহিনুর বেগম, দাদী শাহেরা বেগম ও ফুপু শাহিদা বেগমকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।