মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা ডিজিটালভাবে পহেলা বৈশাখের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এর নাম দিয়েছে ‘ই-বৈশাখ ১৪২৭’। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চারুকলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও অনুষ্ঠানের কনভেনর জনি মাহমুদ।

চারুকলা অনুষদের অনলাইন সূত্রে জানা গেছে, বৈশাখের সারদিন অনলাইনে নাচ, গান, আবৃত্তি, করোনা সচেতনতামূলক ফ্যাশন শো হবে। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম দূরবর্তী নাটক ‘কমলাকান্তের জবানবন্দী’ ও ‘অবাক জলপান’ সম্প্রচার হবে। চারুকলার শিক্ষার্থীসহ, দেশের এবং দেশের বাইরের অন্যান্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এবং বেশ কিছু দেশবরেণ্য মানুষের পাঠানো ভিডিও পারফর্ম প্রদর্শিত হবে।

এছাড়াও রাজশাহী চারুকলা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিল্পকর্মের ছবি নিয়ে একটি ‘অনলাইন শিল্প প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে একজন সরাসরি সঞ্চালক স্কাইপি ভিডিও কলে কিছু পারফর্ম এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেবেন যা সরাসরি প্রচারিত হবে। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান চারুকলা অনুষদের একটি ইউটিউব চ্যানেল- রেডিও চারুতে (Radio Charu) সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।

অনুষ্ঠান সম্পর্কে চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী জনি মাহমুদ বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ হলো বাঙালীর প্রাণের উৎসব। প্রতিবছর দিনটি উপলক্ষে আমার নানা আয়োজন করে থাকি কিন্তু এবারে করোনা ভাইরাসের কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ ও ঘরে বাহিরে বের হওয়া সম্ভব নয়। তাই বাঙালী জাতির পহেলা বৈশাখের প্রতি আবেগ ও আগ্রহের কথা বিবেচনা করে মানুষের সুস্থ বিনোদনের প্রয়োজন পূরণের জন্য আমাদের এই আয়োজন।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা করোনাকালীন সংকটে সমাজের হতদরিদ্র, দরিদ্র, এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের মাঝে বিরাজমান খাদ্য ও স্বাস্থ্য উপকরণ সংকটে তাদের পাশে দাড়ানোর জন্য সাধ্যমত একটি ফান্ড গঠন করা হবে। আর অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে করোনা সচেতনামূলক প্রচারণা চালানো হবে।,

চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শংকর তালুকদার বলেন, ‘বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। তবে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী জনসমাগমপূর্ণ অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করেছেন। তাই বাঙালি জাতির যে ঐতিহ্য, সেটি ধরে রাখতেই ক্ষুদ্র পরিসরে আমরা অনলাইনে এ আয়োজন করতে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখবেন।

রাবি করেসপন্ডেন্ট