গাজীপুরে যৌতুকের দাবীতে এক গৃহবধূকে মারধর করে ও মুখ থেতলে খুন করেছে তার স্বামী। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও শ^শুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। নিহতের নাম রাবেয়া বশরী (২০)। সে গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের নলজানী মধ্যপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের (২২) স্ত্রী।

নিহতের মা নিলুফা ও স্বজনরা জানান, ২০১৮সালে গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের নলজানী মধ্যপাড়া এলাকার ফজলুল হকের বেকার ছেলে আফজাল হোসেনকে ভালবেসে বিয়ে করেন প্রতিবেশী জহিরুল ইসলামের মেয়ে রাবেয়া বশরী। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে রাবেয়াকে তার বেকার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এর জের ধরে বুধবার রাতেও রাবেয়াকে তার স্বামী বেধড়ক মারধর করে এবং চুল ধরে দেয়ালের সঙ্গে মাথা উপর্যুপরি ঠুকিয়ে রাবেয়ার মুখ থেতলে দেয়। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর রাত ১১টার দিকে আফজালের বাবা মোবাইল ফোনে জানান, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে রাবেয়া অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন। পরে রাতেই রাবেয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। পরে অবস্থার উন্নতি না হলে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাবেয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। রাবেয়া নিঃসন্তান ছিল।

জয়দেবপুর থানার ওসি মো. জাবেদুল ইসলাম জানান, পারিবারিক ঝগড়ার কারণে স্বামী তার স্ত্রীকে মারধর করেছে। মাথায় হেমারিংয়ের কারণেই রাবেয়া বশরীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী আফজাল হোসেনসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।