গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তিন সন্তানের জননী এক গার্মেন্টস কর্মীকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বৃহষ্পতিবার নিহতের স্বামীকে আটক করেছে। নিহতের নাম নুর বানু (৪০)। সে নীলফামারীর জলঢাকা থানার বগুলাগাড়ী এলাকার মৃত সরব উদ্দিনের মেয়ে।

আটককৃতের নাম জ্যাকরো রাম রায় ওরফে বিশাল (২৭)। সে নীলফামারীর জলঢাকা থানার তালুকশোলমারী মুদিপাড়া এলাকার আশিনাথ রায়ের ছেলে।

কালিয়াকৈর থানার এসআই রাখাল দেবনাথ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের জাকরো রাম রায় ওরফে বিশালকে ভালবেসে বিয়ে করেন তার দেড়গুণ বেশী বয়সের মুসলমান সম্প্রদায়ের প্রতিবেশী নুর বানুর পরিচয় হয়। পোশাক কারখানায় কাজ করতে গিয়ে তাদের মধ্যে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয়। এটি নুরবানুর দ্বিতীয় বিয়ে। তার প্রথম সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। তারা শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে নিজ ধর্মের কথা গোপন রাখতেন। বিয়ের পর সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে রেখে নুরবানু তার দ্বিতীয় স্বামী বিশালকে নিয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরিণহাটি এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকুরী করতেন। গত কয়েকদিন ধরে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কলহ চলে আসছিল। বুধবার রাতে এলাকাবাসির সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ নুরবানুর গলা কাটা লাশ ঘর থেকে উদ্ধার করে। এসময় ঘর থেকে রক্তমাখা একটি বটি দা’ উদ্ধার করা হয়। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, খুনের এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের স্বামী বিশালকে বৃহষ্পতিবার ঢাকার আশুলিয়া এলাকা হতে আটক করেছে। সে খুনের ঘটনার পর ঘর থেকে পালিয়েছিল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।