মনে কি পড়ে তোমার?
একদিন আমার
সরল নিষ্কলুষ অধর
তুমি তোমার বিষে
নীল করে নিয়েছিলে?
আমরা দু’জন
কপোত কপোতীর মত
উড়ে বেড়িয়েছি ইট কাঠ
পাথরে মোড়া শহরটাতে।
কত শত জায়গা জুড়ে
রেখে এসেছি আমাদের
পদযুগলের স্মৃতিচিহ্ন।
আমি ছন্নছাড়ার মত
অনেকটা দিন তোমার সাথে
ভবঘুরে, ছন্নছাড়া হয়েই
বেঁচে রইলাম।
এই বেঁচে থাকাটাতো
আমাদের যুগলের
বেঁচে থাকার কথা ছিল বলো!
অথচ,আজ তুমি কোথায়
আর আমি বা কোথায়!
তুমি হয়ত আজ
পরম সুখে নিদ্রা যাও ;
আর আমার নিদ্রা সে তো
কবেই ফেরারি পাখির মত
গেছে হারিয়ে কোন অজানায়।
একাকী আমি
মাঝে মাঝে ভুল করে
কারও হাত ধরার কথা ভাবি।
যারই হাত ধরতে চাই
সেই আমার হয়ে যায় শিক্ষক! ভালোবাসার মানুষ হতে চায়না,
সে আমায় শিক্ষা দিয়ে
বুঝিয়ে দেয়
ভালোবাসা আমার জন্যে নয়।
আমার মত ঘরপোড়া গরুকে
সিঁদুরে মেঘ যে তার আবিরে কখনওই রাঙাতে চায়না
একথা আমি বারবার ভুলে যাই।
তুমি অনেক সময়ই বলতে-
তোমার কিছু মনে থাকেনা!
তাই মনে না থাকার খাতায়
আমার নামটাও জুড়ে দিলে!
কতবার বলেছো-
তুমি আমার ছাড়া
আর কারও হবেনা।
অথচ দেখো তুমি ঠিকই
আমার জায়গাটায় অবলীলায়
বসিয়ে নিলে অন্য কাউকে।
ভুলে যাওয়া
কত সহজ তাইনা?
তবে আমি পারিনা কেন?
তুমি আমায়
ভুলে যাবার মন্ত্রটা
শিখিয়ে দিয়ে গেলেনা
কেন বলতো?
কেউ আমার
মন বোঝেনা।
সবাই তোমার মতই ;
হয় অভিনয় করে নয়তো অবজ্ঞা।
আমি তবু ভালই থাকি
তোমার ভাল থাকার কথা শুনে।
তুমি ভাল থেকো
ভীষন সুখে থেকো প্রেয়সীতমা।
রুদ্র অয়ন