গাজীপুরে বৃহষ্পতিবার রাতে র‌্যাব-১’র সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে মাদ্রাসার ছাত্রী সাত বছরের এক শিশুকে গণধর্ষনের ও শ^াসরোধে হত্যার প্রধান আসামী নিহত হয়েছে। র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ৩রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করেছে। সে একজন সিরিয়াল ধর্ষক। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণসহ ছিনতাই ও নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। র‌্যাব-১’র পোড়াবাড়ী স্পেশালাইজ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেঃ কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহতের নাম আবু সুফিয়ান (২১)। তার বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মনসুরাবাদ গ্রামে। সে টঙ্গী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো।

র‌্যাব-১ এর ওই কোম্পানী কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বৃহষ্পতিবার রাত ১১টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মধুমিতা রেল গেইট এলাকায় কয়েক সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এ গোপন খবর পেয়ে র‌্যাব-১’র সদস্যরা সেখানে যায়। এসময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা ইটের স্তুপের আড়াল থেকে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। দু’পক্ষের গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে সিরিয়াল ধর্ষক ও সন্ত্রাসী আবু সুফিয়ানের গুলিবিদ্ধ লাশসহ ১টি বিদেশী পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। নিহত সুফিয়ান স্থানীয় এক মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী সাত বছরের শিশু চাদনীকে গণধর্ষনের ও শ^াসরোধে হত্যার প্রধান আসামী।

তিনি আরো জানান, গত ১৫ মে বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মধুমিতা রেল গেইট বেলতলা এলাকার মামুন মিয়ার মেয়ে চাদনী (৭) বাসার পাশের মাঠে খেলতে যায়। খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশু চাদনীকে স্থানীয় সজীবের ইটের স্তুপের আড়ালে নিয়ে আবু সুফিয়ান ও কিশোর নিলয় জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে ধর্ষকরা শিশুটিকে গলাটিপে ও দু’পায়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। চাদনীর পিতা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করেন। র‌্যাব-১’র সদস্যরা এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামী কিশোর নিলয়কে (১৫) গত ১৮ মে টঙ্গী পূর্ব থানার রেল স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। সে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার কুমড়ি গ্রামের মোঃ ওমর ফারুকের ছেলে।