সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে উঠে আসছে হাজার প্রশ্ন। এসবের মাঝেই সামনে এসেছে নতুন তথ্য। যা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি-ই কি সুশান্তের মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার কারণ? উঠে আসছে এমন প্রশ্ন।

ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যাচ্ছে, লকডাউনেক মধ্যেও সুশান্তের সঙ্গেই থাকছিলেন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী। তবে কয়েকদিন আগেই নাকি রিয়া বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। আবারও আরও একটি সূত্র বলছে রিয়াকে বাড়ি পাঠিয়েছিলেন সুশান্ত নিজেই। পরে আবার, ঝগড়া মিটিয়ে নেওয়ার জন্য রিয়াকে ফোনও করেন সুশান্ত, তবে তিনি ফোন তোলেননি। বেশকিছুদিন ধরে সুশান্তের ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলেন সুশান্তের এক দিদি। সন্দেহ হওয়ায় সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটেও পৌঁছোন তাঁর দিদি। তবে সুশান্ত তাঁকে কিছু জানিয়েছিলেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। এদিকে মৃত্যুর আগের দিন সুশান্ত তাঁর বান্ধবী রিয়াকে আবারও ফোন করেন বলে কল লিস্ট থেকে জানা যাচ্ছে, যদিও ওইদিনও তিনি ফোন ধরেননি। এরপরেই বন্ধু মহেশ শেঠিকে ফোন করলে তিনিও ফোন ধরেননি বলে খবর।

এছাড়াও সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে উঠে আসছে নানা মত। কেউ বলছেন, সুশান্ত মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, সে কারণেই আত্মহত্যা। আবার কেউ সুশান্তের মৃত্যুর পিছনে অন্য রহস্যের কথা বলছেন। কঙ্গনা রানাওয়াত সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ি করেছেন বলিউডের প্রভাবশালীদের। একইভাবে সুশান্তের মৃত্যুর পর শেখর কাপুরের টুইটও অন্য কথা বলছে।

পরিচালক শেখর কাপুর লিখেছেন, ‘আমি জানতাম তুমি কী যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছো। আমি সেই খারাপ মানুষগুলির কথা জানতাম, যাঁরা তোমায় টেনে নিচে নামাতে চেয়েছিল। তুমি আমার কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে পারতে। আমার গত ৬ মাস যদি তোমার সঙ্গে থাকতাম, তাহলে খুব ভালো হতো। যদি তুমি আমার কাছে পৌঁছতে পারতে ভালো হতো। যা ঘটেছে, সেটা তোমার কর্মফল নয়।’

সুশান্তের ঠিক মৃত্যুর পরপরই একটি টুইটে শেখর কাপুর লিখেছিলেন, ‘প্রিয় সুশান্ত তোমার অনেক কিছু দেওয়ার ছিল। হয়ত পৃথিবী তোমার বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে না। তোমার এভাবে চলে যাওয়া ঠিক হয়নি।… ’

শেখর কাপুরের এই টুইটের উত্তরে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘মুখ খুলুন স্যার। এক বিদেহী আত্মার জন্য আপনিই কিছু করতে পারেন। আপনার কথা অন্য ভুক্তভোগীদের সাহসী করবে। আর যদি না বলে, তাহলে হয়তবা আরও এক সুশান্তের জন্য ভবিষ্যৎ-এ আফসোস করতে হবে।’

আরও একটি টুইটে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, ‘বলিউড মাফিয়াদের ভয় পাবেন না। গোটা দেশ আপনাকে সমর্থন করবে। আমরাও আপনার পাশে আছি। আপনি মুখ খুলুন। সুশান্তের বলার জায়গা ছিল না, তবে আপনার আছে। আমি জানি আপনার অনেক বন্ধু আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে। কিন্তু আপনি ধর্মের পথ বেছে নিন। কর্ণ হবে না। এটা অধর্ম।’