কলাপাড়ায় মধ্য রাতে সরকারী খাস পুকুরের কয়েক লক্ষ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যান ভূমি অফিসের নাজির । মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে পৌর শহরের থানার পিছনে অবস্থিত সরকারি এ পুকুরটির মাছ ধরেন ভূমি অফিসের নাজির মিহির কুমার দে। বিষয়টি জানা জানি হলে এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি অবগত আছেন বলে তাঁরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে মধ্যরাতে মাছ ধরার সময় নির্ধারন, কি পরিমান মাছ ও কতো টাকা বিক্রী হয়েছে তার সঠিক কোন সন্তোষ জনক তথ্য জানাতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করে মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে বেশ কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে পৌর শহরের থানার পিছনের সরকারি বড় খাস পুকুরটির মাছ ধরা শুরু করেন নাজির মিহির কুমার দে। প্রায় ভোর পর্যন্ত নাজির মিহির কুমার দে’র নেতৃত্ব বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা চলে। এবং প্রত্যুষের পূর্বেই আহরিত মাছ বিক্রী করা হয়।

এ বিষয়ে কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি)অফিসের নাজির মিহির কুমার দে বলেন, শ্রমিকরা দিনে ব্যস্ত থাকায় তারাই মাছ ধরার জন্য রাত তিনটায় ওই সময় নির্ধারন করেন। যাতে সকালের বাজারে মাছ বিক্রী করা যায়। তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র দেড় মন পাঙ্গাস মাছ ধরা পড়েছে। বাকী মাছ জাল থেকে বেরিয়ে গেছে। তবে কত টাকা বিক্রী হয়েছে তা এখনও শ্রমিকরা জানায়নি।

কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল বলেন, মাছ ধরার বিষয়টি তিঁনি জানেন। নাজির সাহেব তাঁকে জানিয়ে মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে মাছ ধরেন। মাছ বিক্রীর কত টাকা হয়েছে তাকে এখনও জানানো হয়নি।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষয়টি জানিয়েছেন। মাছ বিক্রীর টাকা দিয়ে অন্য ২/৩টি খাসপুকুরের কচুরিপানা পরিস্কার করার কথা তিঁনি বলেছেন।

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি