বুড়িগঙ্গায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক সোয়াদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিকা খান এ রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল আলম আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামির পক্ষে ঢাকা বারের সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান হাসানসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর আয়োরুল কবীর বাবুল জামিনের বিরোধীতা করে রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কলাবাগান থানা এলাকার সোবহানবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাটিতে লঞ্চটির সুপারভাইজার আব্দুস সালাম গ্রেপ্তার হয়ে তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। গত ৭ জুলাই তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি। সদরঘাটে ভেড়ানোর আগ চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ঘটনায় ৩৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এর পরদিন ৩০ জুন রাতে নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার এসআই মোহাম্মদ শামসুল বাদী হয়ে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ এনে এমভি ময়ূর-২ লঞ্চের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- এমভি ময়ূর-২ এর মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ (৩৩), মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা (৬৫), জাকির হোসেন (৩৯), ইঞ্জিন চালক শিপন হাওলাদার (৪৫), চালক শাকিল হোসেন (২৮), সুকানি নাসির মৃধা (৪০) ও সুকানি হৃদয় (২৪)।