বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে গ্রেপ্তারের পর হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আজ বুধবার সকাল ৯টায় তেজগাঁও-এর পুরাতন বিমানবন্দরে আনা হয় তাকে।

পরে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) তোফায়েল বলেন, ‘ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাহেদকে সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। বাচ্চুসহ কয়েকজন দালাল যারা নৌকায় চোরাই পথে সীমান্ত পারাপারের কাজ করেন, তারা সাহেদকে সহযোগিতা করছিল বলে জানা গেছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। কিছু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে।’ আজ বিকেলে অনানুষ্ঠানিকভাবে একটি সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।

এর আগে র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং’র সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।

এরপর ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। তাদের মধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই সাহেদ পলাতক ছিলেন। অবশেষে আজ সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।