প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোরকে চিরবিদায় জানানো হবে আজ। ইতোমধ্যে তার মরদেহ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর থেকে রাজশাহী সিটি চার্চে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে তার মরদেহ চার্চে নেওয়া হয়। এখন চলছে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। সেখান থেকে কালেক্টরেট মাঠের পাশে খ্রিষ্টান কবরস্থানে মায়ের পাশে সমাহিত হবেন তিনি। চার্চে এন্ড্রু কিশোরের স্ত্রী লিপকা, পুত্র জয় এন্ড্রু সপ্তক, কন্যা মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞা, বোন-ভগ্নিপতিসহ নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত রয়েছেন।

করোনা প্রকোপের কারণে রাজশাহীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হচ্ছে না এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ। একই কারণে রাজধানী থেকে সংগীতাঙ্গনের তেমন কেউ-ই যেতে পারছেন না এই শিল্পীর শেষযাত্রায়।

দীর্ঘ ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে পরাজয় মেনে নেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। টানা ৯ মাস সিঙ্গাপুরে ক্যানসারের চিকিৎসাধীন থেকে গত ১১ জুন বিকেলে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফেরেন তিনি। ফিরে যান রাজশাহীতে, যেখান থেকে শুরু।

গত ৬ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে রাজশাহী মহানগরের মহিষবাথান এলাকায় তার বোন ডা. শিখা বিশ্বাসের ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এন্ড্রু কিশোর।

রাজশাহীতে জন্ম এন্ড্রু কিশোরের। সেখানেই কেটেছে শৈশব ও কৈশোর। রাজশাহীর আবদুল আজিজ বাচ্চুর কাছে সংগীতের প্রাথমিক পাঠ শুরু করেন। এক সময় গানের টানে ছুটে আসেন রাজধানী ঢাকায়। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর রেডিওর তালিকাভুক্ত শিল্পী হন তিনি।

সংগীত ক্যারিয়ারে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এন্ড্রু কিশোর। তার গাওয়া প্রথম চলচ্চিত্রের গান ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’। ১৯৭৭ সালে গানটি ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা হয়। এর পরে এ শিল্পীকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।