গাজীপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারী নির্দেশ অমান্য করে স্কুলে ক্লাশ ও পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দায়ে তিনটি বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময়ে এক স্কুলের পরিচালককে ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। শনিবার গাজীপুর জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া পারভেজ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারী নির্দেশ অমান্য করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকার কয়েকটি বেসরকারী স্কুল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছুদিন ধরে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। শনিবার সকালে স্থানীয় পেয়ারা বাগান এলাকার জরুন ন্যাশনাল স্কুলে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা এবং ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সংবাদ পেয়ে গাজীপুরের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া পারভেজ ওই স্কুলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ঘটনার সত্যতা পান। এসময় স্কুল কর্তৃপক্ষ আদালতের কাছে তাদের অপরাধ স্বীকার করে। পরে আদালত স্কুলের পরিচালক শহিদুল ইসলামকে (৫৬) ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং তার স্ত্রী স্কুলের প্রধান দুলালী বেগমকে (৪৫) ৫হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন। করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা জেনেও সরকারী নির্দেশ অমান্য করে শিশুদের মধ্যে সংক্রামক ছড়ানোর সুযোগ দিয়ে তাদের জীবন ঝুকিতে ফেলার দায়ে তাদেরকে এ দন্ড দেওয়া হয়।

এছাড়াও আদালত একই অপরাধে কোনাবাড়ির হরিনাচালা এলাকার অরবিট এডু কেয়ার স্কুলের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলামকে (৫৮) ১০ হাজার টাকা এবং এসরার নগর এলাকার অক্সফোর্ড মডেল স্কুলের শিক্ষক রবিন হোসেনকে (৩২) ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন। এসময় আদালত স্কুল কর্তৃপক্ষকে পরবর্তীতে এধরনের অপরাধ না করার জন্য সতর্কীকরণ করেন।

এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে টাঙ্গাইল থেকে পরিচালিত কোনাবাড়ি শাখার শাহীন স্কুলে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় ওই স্কুলের শিক্ষকগণ। অভিযানকালে ব্যাটালিয়ন আনসার ও পুলিশ সদস্যরা সহযোগীতা করেন।