বান্দরবানের লামা হাসপাতাল পাড়া সংলগ্ন পৌরসভার শেষ সীমানায় নিজেদের জায়গা বৃদ্ধির জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি ঝিরি ভরাট করার ফলে প্রাকৃতিক বৈচিত্র বিনষ্ট হয়ে বর্তমানে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের পানির তীব্র স্রোতে অপর প্রান্তের মাটি ভাঙ্গনের মাধ্যমে লামা সদর ইউনিয়নের প্রায় ৪০ পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে।

পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নদী,খাল, বিল,ঝিরি,ঝর্না,পুকুর,জলাশয় ইত্যাদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জলাবদ্ধতা নিরসনে এ সমস্ত উৎস গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ন। জীব বৈচিত্র্য ও প্রকৃতিক ভারসাম্য বজায় কল্পে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন রয়েছে।

প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী, কোনো পুকুর-জলাশয়, নদী-খাল ইত্যাদি ভরাট করা বেআইনি। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-২০১০ অনুযায়ী, জাতীয় অপরিহার্য স্বার্থ ছাড়া কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারি বা আধা সরকারি, এমনকি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পুকুর বা জলাধার ভরাট করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কিন্তু এসব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লামা হাসপাতাল পাড়া সংলগ্ন পৌরসভার শেষ সীমানায় নিজেদের জায়গা বৃদ্ধির জন্য ঝিরি ভরাট করা হয়েছে ফলে প্রাকৃতিক বৈচিত্র বিনষ্ট হয়ে বর্তমানে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের পানির তীব্র স্রোতে অপর প্রান্তের মাটি ভাঙ্গনের মাধ্যমে লামা সদর ইউনিয়নের প্রায় ৪০ পরিবারের ব্যবহূত একমাত্র রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে যা খুবই দুঃখ জনক।

স্থানীয়রা বলেন অর্থ বিত্ত এবং প্রভাব প্রতিপত্তির দাপটের কারনে একটি পরিবারের কাছে পশ্চিম হাসপাতাল পাড়া ও ডলুঝিরির সাধারন জনগন অসহায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সুদীর্ঘ সময় যাবৎ সমস্যার সমাধান কল্পে মৌখিক ভাবে স্থানীয় গন্যমান্যের দারস্ত হয়ে অভিযোগ দায়ের করেও আশানুরূপ কোন সমাধানে পৌছাতে পারে নি।

এভাবে ঝিরি ভরাটের মাধ্যমে গতি পরিবর্তন করা আইনের লঙ্ঘন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এটা এদের বলার পরও এরা কোন রূপ কর্ণপাত না করে হটকারিতা করে চলেছে। এভাবে জলাধার ভরাটের মাধ্যমে গতি পরিবর্তন করলে প্রাকৃতি তার সৌন্দর্য হারিয়ে পরিবেশ বিপন্ন হবে এবং পাশাপাশি ধ্বংস হবে মানুষের চলাচলের রাস্তা।

এলাকাবাসী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ওরা আমাদেরকে মানুষই মনে করে না। তুচ্ছ তাচ্ছিল্য এবং বাজে অাচরন করে। অবৈধ ভাবে ভরাটকৃত ঝিরি পুনঃ উদ্ধার পূর্বক প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনে উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা চেয়ারম্যান,পৌর মেয়র,সুশীল সমাজ,সাংবাদিক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

স্বপন কর্মকার লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি