বাজারে এলো দেশের সর্বোচ্চ মূল্যমানের ১০০০ টাকার নতুন নোট। নতুন এ নোটটির নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য আগের চেয়ে দৃঢ় করা হয়েছে। নোটের রং পরিবর্তনশীল হলোগ্রাফিক নিরাপত্তা সুতা উন্নততর হওয়ায় সহজে এটিকে জাল করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির স্বাক্ষরিত নতুন নোটটি আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার (২০ জুলাই) থেকে বাজারে ছাড়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে নোটটি ইস্যু করা হয়েছে। তবে সহসাই নতুন এ নোট বাংলাদেশ ব্যাংকের সব অফিস থেকে ইস্যু করা হবে।

নতুন এ নোটটিতে বিদ্যমান ১০০০ টাকা মূল্যমান ব্যাংক নোটের রং এবং ডিজাইন অপরিবর্তিত রেখে শুধু নোটের সম্মুখভাগে বামপাশের নিরাপত্তা সুতাটি পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন করে সংযুক্ত নিরাপত্তা সুতাটি ৫ মিলিমিটার প্রশস্ত এবং নোটে নিরাপত্তা সুতার ৪টি অংশ (উইন্ডো) দৃশ্যমান থাকবে। ৫ মিলিমিটার প্রশস্ত নতুন এ নিরাপত্তা সুতায় ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’ এবং ‘১০০০ টাকা’ খচিত রয়েছে।

এটি কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুতার দৃশ্যমান অংশে সম্পূর্ণ ও আংশিক এবং কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুতার ভিতরে অবস্থান করবে। নতুন নিরাপত্তা সুতাটি নখের আঁচড়ে বা মুচড়িয়ে সহজে উঠানো সম্ভব হবে না, নোটটি কাত করলে নিরাপত্তা সুতার রঙ সোনালী থেকে হালকা সবুজ ও গাঢ় সবুজ রঙে পরিবর্তিত হয় এবং উজ্জ্বল রংধনুর রঙের বারে রূপান্তরিত হয়ে উপর থেকে নিচে চলতে দেখা যাবে।

নোটের রং, ডিজাইন ও অন্য সব নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য (জলছাপ, ওভিআই কালিতে লেখা ‘১০০০’, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ৫টি বিন্দু, মাইক্রোপ্রিন্ট, খসখসে লেখা, লুকানো ছাপা, নোটের পেছনের দিকে ইরিডিসেন্ট স্ট্রাইপ ইত্যাদি) অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রচলনে দেয়া নতুন এই নোটের পাশাপাশি বর্তমানে প্রচলনে থাকা ১০০০ টাকা মূল্যমানের অন্য নোটগুলো (শহীদ মিনার ও কার্জন হলের ছবি সম্বলিত হালকা লাল রঙের নোট এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্বলিত হালকা বেগুনী রঙের নোট) বৈধ ব্যাংক নোট হিসেবে যুগপৎ চালু থাকবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।