কক্সবাজার বিমানবন্দর লাগোয়া সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় উদ্বাস্তু জীবন কাটানো ৬০০ পরিবারকে ফ্ল্যাটের চাবি বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নিজের বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ফ্ল্যাটগুলো দেন প্রধানমন্ত্রী।

সকালে গণভবন থেকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। পরে কক্সবাজার প্রান্তে জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হয় ফ্ল্যাটের চাবি। তিন দশক আগে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে পরিবারগুলো উদ্বাস্তু হয়ে পড়ে।

খুরুশকুলের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ফ্ল্যাট পাওয়া পরিবারগুলোর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যাদের ঘরবাড়িগুলো করে দেওয়া হলো, মনে রাখবেন, এগুলো আপনাদের নিজের। সেভাবে যত্ন নিয়ে ব্যবহার করবেন, সুন্দরভাবে যাতে থাকে সেটা দেখবেন।’

পরিবারগুলোর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খুরুশকুলে আলাদা একটি সুন্দর শহর গড়ে উঠবে। আপনারা এতদিন যেভাবে ছিলেন কষ্টের মধ্যে, আমি নিজে গিয়েছি, আমি দেখেছি সেই জায়গা, কাজেই আপনারা এখানে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারবেন। আপনাদের ছেলেমেয়েরাও ভালোভাবে বড় হবে, মানুষের মতো মানুষ হবে, সেটাই আমরা চাই।’

করোনাভাইরাসের মহামারিতে দেশের অগ্রগতিতে বাধার সৃষ্টি করেছে মন্তব্য করে সবাইকে স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনাগুলো মেনে চলার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। কক্সবাজার শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে খুরুশকুলে বাঁকখালী নদীর তীরে ২৫৩ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে এই ‘বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প’। পুরো এলাকাকে চারটি জোনে ভাগ করে ১৩৯টি পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে।

অনুষ্ঠানের গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আর কক্সবাজার প্রান্তে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।