গাজীপুরের শ্রীপুরে ইউপি সদস্যের কাছে ধর্ষনের বিচার চাইতে গিয়ে আবারো ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী (২০)। শনিবার পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে।

এ ঘটনায় শনিবার স্থানীয় কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য (ইউপি মেম্বার) কলিম উদ্দিন (৪০) ও নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে পারভেজ আহম্মেদকে (২৮) অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শ্রীপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুজ্জামান মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, শ্রীপুরের এক পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন ওই কিশোরী। তার সঙ্গে পরিচয় হয় পিক-আপ চালক পারভেজের সঙ্গে। পারভেজের গাড়ীতে চড়ে কারখানায় আসা যাওয়ার পথে তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর জেরে ১৮ জুলাই রাতে পারভেজ তার বাড়িতে নিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষন করে। পরে কিশোরীকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে ব্যার্থ হয়ে পারভেজ পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরদিন রাত ৮টার দিকে পারভেজের বাড়ি যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন। এসময় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী ইউপি সদস্যের কাছে পুরো ঘটনা জানিয়ে বিচার দাবী করে। প্রেমিক পারভেজের সঙ্গে বিয়ের বন্দোবস্ত করে বিচার করার আশ্বাস দিয়ে রাত ১০টার দিকে কিশোরীটিকে মোটরসাইকেলে নিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন কলিম উদ্দিন। পথে শালবনের ভেতরে নিয়ে কিশোরীকে উপর্যুপরি ধর্ষন করে সেখানে ফেলে যান অভিযুক্ত ইউপি সদস্য কলিম উদ্দিন। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করে তার স্বজনরা।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, এ ঘটনায় শনিবার মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ মামলার প্রধান অভিযুক্ত পারভেজ আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তকে অপরজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমকে শারিরীক পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।