নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে আত্রাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ মোঃ রেজাউল ইসলাম রেজুতেই আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন তৃণমুল নেতা কর্মী ও এলাকার জনসাধারণ। দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় আসন নওগাঁ-৬। চলতি বছরের গত ২৭ শে জুলাই এই আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের মৃত্যুর পর শূন্য হয় এই আসন।

জনপদে বইতে শুরু করে নির্বাচনী হাওয়া। শুরু হয়েছে নানা সমীকরন। রাজনৈতিক মহলে চলছে চুল ছেঁড়া বিশ্লেষন। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতা কর্মীদের দোয়া কামনাসহ বিভিন্ন প্রচার প্রচারনা দেখা গেলেও কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অপেক্ষায় বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা। বিএনপি এই উপনির্বাচনে আংশগ্রহন করবে কিনা এমন আশংকা থেকেই কোন রকম প্রচার প্রচারনায় মাঠে নেই বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে বিএনপি নেতা কর্মীরা বলছে এটা তাদের একটি কৌশল মাত্র।

এরি মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী মরহুম ইসরাফিল আলমের সহধর্মিণী সুলতানা পারভীন বিউটি, এ্যাডঃ ওমর ফারুক সুমন, মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী , আনোয়ার হোসেন, এ্যাডঃ জাহিদসহ প্রায় হাফ ডজন নেতা কর্মী এ আসনের হাট বাজার, গ্রাম মহল্লা, বন্যাকবলিত এলাকায় তাদের লোকবল ও মনোবল নিয়ে বিভিন্ন ভাবে জনগনের মাঝে নিজেকে উপস্থাপন করছেন মনোনয়ন প্রত্যশীরা বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে দির্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি তে চলছে ভিন্ন সমীকরন। আস্থা রাখছে যোগ্য ও রাজ পথে পরিক্ষীত “রেজু”র নেতৃত্বে। এর আগে এই আসনে দল বিএনপি থেকে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারা কেউ এই দুই উপজেলার একটি উপজেলার ভোটার বা স্থায়ী বাসিন্দা নয়। তাই এবার এই জনপদের মানুষ তাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজেদের সন্তান তথা তাদের নিজ উপজেলার ভোটার বা স্থায়ী বাসিন্দা বিএনপি নেতাকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করে এই আসন পুনুঃরুদ্ধার করতে চায়।

প্রচার প্রচারনায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দেখা না মিললে ও দুর্যোগময় পরিস্থিতি তে দলীয় কর্মসুচি পালন এবং নির্দেশনা মেনে প্রতিটি দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে যেমন তার সহোযোগিতা অব্যহত রেখেছেন ঠিক তেমনি করোনা মহামারী কালে ও অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন আত্রাই বিএনপির সাবেক সভাপতি জনপ্রিয় নেতা শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু।

এই দুই উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশা ও বিএনপি নেতা কর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত সময়ের নেতার দ্বায়িত্বে থাকা নেতাদের দ্বায়িত্ব হীনতা, নেতা কর্মী অব্যমুল্যায়ন এবং আশা নিরাশার অজানা অনেক তথ্য।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অযোগ্য এবং বিএনপিকে চাকর বাকরের দল অভিহিত করে দল ছেড়ে এলডিপিতে যোগদেন দির্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত প্রার্থী আলমগীর কবির। পরবর্তী সময় নাটকীয় ভাবে তার ছোট ভাই আসে রাজনীতির মাঠে। পর্দার আড়ালে থেকেই কলকাঠি নাড়তেন তিনি বলে মনে করেন আনেকেই। বড় ভাই দির্ঘদিন এই আসনে সংসদ সদস্য থাকায় মাঠ ধরতে বেগ পেতে হয়নি ছোটভাই আনোয়ার হোসেনকে। তবে নেতার পরিবর্তন হলেও তৃণমুলের নেতা কর্মীর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি রাজনৈতিক ভাবে।

বড় ভাইয়ের (আলমগীর কবির) তার সময় নাম মাত্র বিভিন্ন সাংগঠনিক কমিটি হলেও পরবর্তী সময় ছোট ভাইয়ের সময় দলের ত্যাগী কর্মীদের সাথে ঘটেছে রাজনৈতিক ছলচাতুরি। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতার সাথে পরিচিতি থাকায়, কোন রকম নিয়ম নিতীর তোয়াক্কা না করেই নিজের পছন্দমত তৈরি করা হয়েছে পকেট কমিটি, বেড়েছে মাদকাসক্তদের প্রাধান্য এমনটিই বলেছেন অনেকেই। আর সেসব পকেট কমিটি কে অস্ত্র করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে পেশ করে নিজকে বড় নেতার কাতারে নিতে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য পদ লাভ করেন আনোয়ার হোসেন বুলু। এমন অনিয়মের কারনেই এই দুই উপজেলায় শুরু হয়েছে বিএনপির গ্রুপিং রাজনীতি।

জানা গেছে, এ পর্যন্ত কোন সময় দলীয় নির্দেশনা মেনে কাউন্সিল করে কোন সাংগঠনিক কমিটি করা হয়নি এই দুই উপজেলায়। এরি মাঝে এই জনপদের নেতাকর্মীদের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হয়ে ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো দলছেড়ে যাওয়া। আলমগীর কবীরকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রদান করে দল বিএনপি। নেতা কর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আলমগীর কবিরকে অবানঞ্চিত ঘোষনা করে নওগাঁ-৬ আসনে। নির্বাচন পরবর্তী প্রায় দু বছর পার হলেও দলীয় কোন কর্মসূচিতে উপস্থিত হননি তিনি খোঁজ খবর ও নেন না কারো। বার বার দল বিএনপির কেন্দ্রীয় এমন ভুল সিদ্ধান্তের ফলে সঠিক ত্যাগী নেতৃত্বের আস্থা হারাচ্ছে নেতাকর্মী।

তাই অহিংস নেতৃত্বের প্রতীক ও নওগাঁ-৬ এই জনপদের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিনিধি হিসেব শেখ মোঃ রেজাউল ইসলামকে শান্তির দূত ও সফল সংগঠকের আসনে অসীন করতে চায় দলীয় নেতা কর্মীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।