যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৩ কিশোরকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারের জন্য ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।

এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণোলয় সচিব, সমাজ সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক, যশোরের জেলা প্রশাসক, যশোরের পুলিশ সুপার এবং যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ও প্রবেশন অফিসারকে রেজিস্ট্রিকে বিবাদী করা হয়েছে। ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী এ নোটিশ পাঠান। তিনি বলেন, ‘নিহত কিশোর পারভেজ হাসানের (১৬) বাবা রোকা মিয়া, নাইম হাসান ওরফে আবু নাইমের (১১) বাবা মো. নান্নু এবং মো. রাসেল ওরফে সুজনের (১৭) বড় ভাই সাইফুল ইসলাম নান্টুর পক্ষে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।’

এতে বলা হয়, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব ছিল শিশু/কিশোরদের রক্ষা করা। কিন্তু তারা তা না করে শিশুদের হত্যা করেছে। আগামী ২৪ আগস্টের মধ্যে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গেলা ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোর বন্দিদের মারপিট করা হলে তিন কিশোর নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট রাতে নিহত কিশোর পারভেজ হাসান রাব্বির বাবা রোকা মিয়া যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কর্তৃপক্ষকে আসামি করা হয়। পুলিশ এ মামলায় কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করে।

পরে কেন্দ্রের তত্ত্ববধায়ক (সহকারী পরিচালক) আব্দুল্যা আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক (প্রবেশন অফিসার) মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলমকে ৫ দিনের ও সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মো. মুশফিকুর রহমান ও কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুককে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠান যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান। অন্যদিকে এ পাঁচ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।