জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের খুঁজে বের করতে একটি তদন্ত কমিশন হচ্ছে।

সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া, এই কমিশনে কোন পর্যায়ের ব্যক্তিদের রাখা হবে, এসব বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে চিন্তা-ভাবনা ও আলোচনা চলছে। কমিশন গঠনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা দ্রুতই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলবেন। এই কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া ও কমিশনের কাজের ধরন কি হবে সেসব বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরকার আলোচনা করবে এবং তাদের মতামত নেবে বলে জানা গেছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে যারা সরাসরি অংশ নিয়েছিল দেরিতে হলেও তাদের বিচার হয়েছে। তবে ওই হত্যাকাণ্ডের পেছনের ষড়যন্ত্রকারী বা কুশীলবদের বিচারের দাবি দীর্ঘদিনের।

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিচার বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করে। ২০১০ সালে কয়েকজনের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্র উদঘাটনে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে আমরা কার্যক্রম শুরু করব।

তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে। কীভাবে কমিশন গঠন করা হবে, এর কার্যপরিধি এবং ক্ষমতা কী হবে, টার্মস অব রেফারেন্স কী হবে- এসব বিষয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আমরা শিগগিরই আলোচনা করে ঠিক করবো।