দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমিত আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৩১ জন। আর একই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ২ হাজার ২৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টার এই পরিসংখ্যান মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ৪ হাজার ২০৬ জন। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ৩ লাখ ৮ হাজার ৯২৫ জন। আর এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬৩ জন।

শনিবার (২৯ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯২টি পরীক্ষাগারে করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এসব পরীক্ষাগারে মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১১ হাজার ৪৩৮টি। একই সময়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৬৮৯টি। আগের নমুনা মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ১৫ লাখ ২৫ হাজার ৮১৫টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে ২ হাজার ১৩১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ পর্যন্ত শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত কয়েকদিন ধরে এই হার অব্যাহতভাবে বাড়ছে। এর আগে ৪ আগস্ট থেকেই সুস্থতার হার ছিল ৫৭ শতাংশের ঘরে। সবশেষ ১৮ আগস্ট এই হার ছিল ৫৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এরপর গত ১০ দিনের মধ্যে ব্যবধানে প্রায় ৭ শতাংশ বাড়লো সুস্থতার হার।

এদিকে, করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত বিবেচনায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন, বাকি ছয় জন নারী। এখন পর্যন্ত করোনা মৃত্যুবরণ করা মোট মানুষের মধ্যে ৩ হাজার ৩০০ জন পুরুষ, ৯০৬ জন নারী। শতাংশের হারে মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, নারী ২১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের তথ্য বিশ্লেষণ করে আরও দেখা যায়, গত দিনে যে ৩২ জন মারা গেছেন, তারা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী সাত জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী দুই জন।

বয়সের হিসাবে এখন পর্যন্ত মারা যাওয়াদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছে ১৯ জন, (দশমিক ৪৫ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩৬ জন (দশমিক ৮৬ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১০০ জন (২ দশমিক ৩৮ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৫৭ জন (৬ দশমিক ১১ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫৬৬ জন (১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১ হাজার ১৫৬ জন (২৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ) এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ২ হাজার ৭২ জন (৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ)।