গণপরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের চলা অভিযান আরও জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী গণপরিবহন আগের ভাড়ায় ফিরেছে। গত দু’দিনে অনেক পরিবহন শর্ত মেনে পুরনো ভাড়া আদায় করলেও কিছু কিছু পরিবহনের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গসহ কিছু অভিযোগ পাওয়া যায়। যাত্রী ওঠা বা নামার ক্ষেত্রে দরজায় ভিড় এড়াতে হবে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ সারাদেশে বিভাগীয় পর্যায়ে মোট ৫৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। শর্ত না মেনে গাড়ি চালানোয় ১৯টি মামলা এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে গত দু’দিনে। এছাড়া জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসাররাও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। আমাদের পুলিশ বাহিনী যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন। আজ অভিযান আরো জোরদার করা হবে।
যেসব পরিবহন শর্ত মেনে ভাড়া আদায় করছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যে সকল পরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মানছে না সে সকল মালিক-শ্রমিক যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালানোয় তৎপর হন, তাদের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি জনস্বার্থে।মাস্ক পড়ায় যাত্রীদের উদাসীনতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, আমি যাত্রী সাধারণকে ভ্রমণকালে অবহেলা না করে মাস্ক পরিধানের অনুরোধ জানাচ্ছি। আবার চালক-হেল্পার মাস্ক না পরে কোনো রকম গলার সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রাখেন। এটা তো লোক দেখানো মাস্ক পরা। মাস্ক যেভাবে নিয়ম সেভাবে পরতে হবে।

আওয়ামী লীগ জনস্বার্থকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়ায় মানুষের আস্থার সংগঠনে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর যাদের উৎস জনগণ নয়, বন্দুকের নল; তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। বারবার আন্দোলন-নির্বাচনে ব্যর্থ হওয়া প্রমাণ করে বিএনপি জনস্বার্থ সুরক্ষায় অবিশ্বস্ত।শেখ হাসিনার কাছে দেশ ও জনগণের স্বার্থ সবার আগে। যারা দেশ বিকিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে লুণ্ঠিত করে, ইতিহাসকে বিকৃত করে, আর হত্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাসনির্ভর রাজনীতি করে তাদের মুখে জনস্বার্থের কথা শোভা পায় না। জনগণও তা বিশ্বাস করে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেত্রীর ক্যারিশমা পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান করেছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্যারিশমার কথা বলেন! বিএনপির ক্যারিশমা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান, হাওয়া ভবনের নামে লুটতরাজের খোয়াব ভবন। এটাই তাদের ক্যারিশমাটিক লিডারশিপের নমুনা।

২১ অগাস্ট ঘটিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজানো তাদের আরেক ক্যারিশমা। যারা ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তির কথা ভুলে যান, নরেন্দ্র মোদীর বিজয়ের খবরে ভারতীয় দূতাবাসের গেটে ছুটির দিনে ফুল ও মিষ্টি নিয়ে কারা দাঁড়িয়েছিল, এদেশের মানুষ ভালো করেই জানে। তিনি বলেন, একুশ বছর প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক তৈরি করে তারা কিছুই আদায় করতে পারেনি। শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সীমান্ত সমস্যা, ছিটমহল সমস্যা, সমুদ্র বিজয় করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে একটি দেশবিরোধী বিদেশি শক্তির প্রতিভু ছিল। এদেশের যত অর্জন সবকিছু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের মাধ্যমে।