ফরিদপুরে শুরু হওয়া শুদ্ধি অভিযানে অনিয়ম ও লুটপাটের সঙ্গে সম্পৃক্ত সরকারি দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা পুলিশের জালে ধরা পড়ায় আতঙ্কে আছে হাইব্রিড নেতারা। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকে এখন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এদিকে হাইব্রিড নেতাদের প্রষ্ঠপোষকরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকায় হতাশ ত্যাগী নেতাকর্মীরা।

ফরিদপুরে রাজনৈতিক ক্ষমতাকে পুঁজি করে দুই হাজার কোটি টাকা উপার্জন ও পাচারের ঘটনায় দায়েরকৃত মানি লন্ডারিং মামলায় একের পর এক গ্রেফতারে ফরিদপুরের জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ক্ষমতাসীন দলের হাইব্রিড প্রভাবশালী নেতাদের মাঝে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে বহুল আলোচিত ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভিসহ গ্রেফতার হয়েছেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ১৭ জন নেতা।

জানা গেছে, আরও অনেকেই গ্রেফতারের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। সর্বত্র ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে এদের গডফাদারদের প্রসঙ্গটিও।স্থানীয়রা বলেন, শুদ্ধি অভিযানের কারনে তৃণমূলের অনেক নেতা কর্মীরা দুর্বৃত্তায়নের ও লুটপাটের মধ্যে নাই তারাও আতঙ্কের মধ্যে আছে। অন্য একজন বলেন, যাদের মনটা অপরাধী বা যারা মনে করেন অতীতে তাদের কর্মকাণ্ড ভালো ছিল না। তারাই আত্মগোপন করে আছেন। এই অভিযান দলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে জানান,ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন। তিনি বলেন,অপরাধ মূলক কাজের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার কারণেই তারা পালিয়ে আছেন। অপরাধ যারা করেছেন তাদের বিরুদ্ধেই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।

ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো.আলিমুজ্জামান বলেন, যারা দলকে ব্যবহার করে অবৈধ পথে অর্থ উপার্জন করেছে তারা তো আতঙ্কের থাকবেই। সবার তো আতঙ্কের থাকার কোনও কারণ নেই। গ্রেপ্তার আতঙ্কে শুধু অপরাধীর ক্ষেত্রে,অন্যদের জন্য নয়। গেল ১৬ মে রাতে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লা বাড়ি সড়কে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় সরকারের এই বিশেষ অভিযান।