নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরো দু্ইজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, ছয় দিন আগের ওই ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে মোট ৭ জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের মধ্যে পটুয়াখালীর নজরুল ইসলাম (৫০) এবং কিশোরগঞ্জের শেখ ফরিদ (২১) বৃহস্পতিবার বিকালে মারা যান।

এই দুজনকে নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়ালো। ডা. পার্থ বলেন, বাকি যে পাঁচজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাদের অবস্থাও সঙ্কটাপন্ন। তাদের সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজের সময় ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এ বিস্ফোরণ ঘটে। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। তখন ছয়টি এসি বিস্ফোরিত হয়। এ সময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় সবাই দগ্ধ হন।

মৃতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন, মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), মুন্সীগঞ্জের কুদ্দুস বেপারি (৭২), চাঁদপুরের মোস্তফা কামাল (৩৪), পটুয়াখালীর গার্মেন্টস কর্মী রাশেদ (৩০), হুমায়ুন কবির (৭২), পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর জামাল আবেদিন (৪০), গার্মেন্টস কর্মী ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), কলেজ শিক্ষার্থী রিফাত (১৮), চাঁদপুরের মাইনউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), লালমনিরহাটের গার্মেন্টস কর্মী নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), নারায়ণগঞ্জের রাসেল (৩৪), শরীয়তপুরের নড়িয়ার ইমরান (৩৭), খুলনার কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুয়েল (৭), বাহার উদ্দিন (৫৫), নাদিম (৪৫), জুলহাস (৩৫), শামীম (৪৫), হান্নান (৫০)। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা তল্লা এলাকার বাসিন্দা।