নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জন হল।ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে মারা যান অগ্নিদগ্ধ আব্দুল আজিজ (৪০)।এরপর দুপুরে ফরিদ নামে অন্যজনেরও মৃত্যু হয় বলে ইনস্টিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন।এই দুজনই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ আর তিনজন এখন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শরীয়তপুরের নড়িয়া কেদারপুর গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে আজিজের দেহের ৪৭ শতাংশ পুড়েছিল।ময়মনসিংহের ত্রিশালের আব্দুর রহমানের ছেলে ফরিদের (৫৫) দেহের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।দুজনের শ্বাসনালীও পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা সঙ্কটাপন্ন ছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন।বিস্ফোরণের সময় আজিজ মসজিদের সামনেই তার লন্ড্রির দোকানে কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণে দোকানের গ্লাস ভেঙে আগুনের হলকা এসে ঢোকে তার দোকানে।ফরিদ ত্রিশাল থেকে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে নামাজ পড়তে ওই মসজিদে গিয়েছিলেন।
গত ৪ এপ্রিল ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হয়েছিলেন।

তিতাসের পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস মসজিদের বদ্ধ ঘরে জমে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে একজন শুধু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।পটুয়াখালীর চুন্নু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কেনান (২৪), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নিউখানপুর ব্যাংক কলোনির আনোয়ার হোসেনের ছেলে রিফাত (১৮) এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসিরহাট গ্রামের আবদুল আহাদের ছেলে আমজাদ (৩৭) এখন হাসপাতালে রয়েছেন।

আমজাদের দেহের ২৫ শতাংশ পুড়েছে। শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়েছে কেনানের, রিফাতের পুড়েছে ২২ শতাংশ।সবারই শ্বাসনারী পুড়ে যাওয়ায় কেউ শঙ্কামুক্ত নন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।