এইচআইভি-এইডস প্রতিরোধ কল্পে ধর্মীয় নেতা, লোকাল এলিট এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সেনসিটাইজেশান এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার লাইট হাউস, প্রায়োরাটাইজড এইচআইভি প্রিভেনশন সার্ভিসেস এ্যামং কী পপুলেশন ইন বাংলাদেশ কর্মসূচির আওতায় পাবনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।

পাবনার সিভিল সার্জন ডাঃ মেহেদী ইকবালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহেদ পারভেজ। লাইট হাউস পাবনা‘র ড্রপ-ইন সেন্টার ইনচার্জ কাজী জাকির হায়দার সভা পরিচালনা করেন। আলোচনায় অংশ নেন সিভির সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার মো: খায়রুল কবির, প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি কামাল সিদ্দিকী, শহর সমাজ সেবা কর্মকর্তা হাফিজ আহমেদ ও হিজড়া প্রতিনিধি মিতুল।

সভায় স্থানীয় জন প্রতিনিধি, ইমাম, সাংবাদিক, আইনজীবি, শিক্ষক, হিজড়াসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, পাবনা জেলায় এইচআইভি/এইডস এর ঝুঁকি বেশি। তিনি বলেন মএসএম ও হিজড়াদের মধ্যে এইচআইভি/এইডস ঝুঁকি হ্রাস করা এবং তাদের মানবাধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সকলের সহায়তা প্রয়োজন। কার্যক্রম বাস্তবায়নে যে কোন সময় লাইট হাউসকে সার্বিক সহযোগীতা করার আহবান জানান।

সিভিল সার্জন জনাব মেহেদী ইকবাল সার বলেন ল্ইাট হাউস গুরত্ব পুর্ন দায়িত্ব পালন করছেন এবং তিনি সমাজের সকল শ্রেনির পেশাজীবিদের লাইট হাউসকে সহযোগীতা করার এবং কাধে কাধ মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান ।

সভায় লাইট হাউসের পরিচিতি ও কার্যক্রম এবং অর্জন নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয় লাইট হাউস পাবনাসহ ১৮ জেলায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে এবং এর মাধ্যমে ঝুকিপূর্ন এমএসএম ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি/এইডস ঝুঁকি হ্রাস, স্বাস্থ্যসেবা, যৌনরোগের চিকিৎসা, এইচআইভি পরীক্ষা এবং এইচআইভি/এইডস তথ্যসেবা প্রদান করে আসছে। এছাড়াও এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ইমাম সাংবাদিক, আইনজীবি, শিক্ষকসক সকল মানুষ কিভাবে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে পারেন তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় এইচআইভি/এইডস ছড়ানোর ক্ষেত্রে ঝুকিপূর্ন জনগোষ্ঠী এমএসএম ও হিজড়াদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও পাশাপাশি তাদের বিকল্প পেশার উৎস তৈরী করার জন্য দাবী জানানো হয়।