বাংলাদেশের বিনা ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাঁচের স্বর্গে বসবাস করছে। এই সরকার ভারতের তাবেদার সরকার। ভারতের পরামর্শ নিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করেন বলেই দেশে এত খুন, গুম, ধর্ষন, রাহাজানী ও দুর্নীতি হলেও এই তাবেদার সরকারের করার কিছুই নাই। আজ ২৮ শে সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার বেলা ১১টার দিকে, সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দ্বারা স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষন এবং খাগড়াছড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন আদিবাসী নারীকে গণধর্ষনের সাথে জড়িকদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে রাজশাহী মহানগর ও জেলা ছাত্রদলের আয়োজনে নগরীর মালোপড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্ঠা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু এই কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ও প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগ। এই ছাত্রলীগের সোনার সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতিকারী নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত দেশে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে গেলেও তিনি নিরব থাকেন। কারন তিনি এই বিষয়গুলো শুনতে মজা পান বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধর্ষনের সেঞ্চুরী উদ্যাপন করলেও সরকার তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা তিনি নিতে পারেন নি। পূর্বে যারা এই অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো তাদেরকে সোনার মেডেল দিয়ে এবং এমপি বানিয়ে পুরস্কৃত করেছেন এই সরকার। ছাত্রলীগের নেতারা শুধু ঐ নারীকেই ধর্ষন করেনি। এর মাধ্যমে গোটাজাতীর সাথে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।

নারী পুরুষ কেউ এই সরকারের নিকট নিরাপদ নয় উল্লেখ করে মিনু আরো বলেন, দেশ এখন সন্ত্রাস ও দুর্নীতিতে ভরে গেছে। প্রতিদিন টিভি ও পত্রিকার পাতা খুললে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের হাজারো অপকর্ম চোখে পড়ে। ঐ নারীকে ধর্ষনের সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য বিচার বিভাগের প্রতি আহবান জানান। এই সকল অন্যায় ও অপকর্ম থেকে দেশের জনগণকে বাঁচাতে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই অন্ধকার রাতের ভোটের সরকারকে হটিয়ে দেশে আবারও গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠান করা হবে জানান মিনু।

রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনির সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজাশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসন বুলবুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। এছাড়াও উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন। উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশটি পরিচালনা করেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম রবি এবং আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুর্তুজা ফামিন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহরিয়ার আমিন বিপুল, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সৌরভ, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল সরকার ডিকো সহ মহানগর ও জেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট এর সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ধর্ষনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা প্রদান করে। পরে তারা পার্টি অফিসের সামনেই প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড স্থগিত করে সংগঠনটিকে বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। সেইসাথে ধর্ষনের সাথে জড়িতের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা।