গাজীপুরে পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির সময় একব্যাক্তির লাথির আঘাতে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতের নাম মোঃ আব্দুর রশিদ (৫০)। তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার নেতারাশি এলাকার মৃত ফজর আলীর ছেলে।

জিএমপি’র কাশিমপুর থানার ওসি মাহবুবে খোদা জানান, গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর নয়াপাড়া এলাকায় জনৈক এমারত হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে চায়ের দোকান ও সবজি বিক্রি করতেন আব্দুর রশিদ। তিনি স্থানীয় সুলতান মির্জার ছেলে সুমন মির্জার (২৮) একখন্ড জমি ভাড়া নিয়ে সবজি আবাদ করতেন। পাওনা টাকা না দেওয়ায় বুধবার রাত আটটার দিকে রশিদকে বকাঝকা করেন সুমন। এসময় দু’জনের মধ্যে কাথাকাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে সুমন সজোরে আব্দুর রশিদের তলপেটে লাথি মারে। এতে আব্দুর রশিদ গুরুতর আহত হন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। ওই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রশিদের অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার বিকেলে তাকে সেখান থেকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান আব্দুর রশিদ। পরে স্বজনরা নিহতের লাশ নিয়ে কাশিমপুর নয়াপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন। শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাসা থেকে রশিদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনার পর থেকে সুমন মির্জা পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান তুলা জানান, নিহত আব্দুর রশিদ নয়াপাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম সুমনের চাচা এমারত হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে বলে শুনেছি। পরে আব্দুর রশিদকে কোনাবাড়ির একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে শুক্রবার বিকেলে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে আব্দুর রশিদ মারা যান।