কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ী লাভলী বেগমের হাত থেকে বাঁচাতে রাস্তায় নেমে বৃষ্টিতে ভিজে মানববন্ধন করেছেন লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিস্তার তীরবর্তী ছিন্নমূল মানুষ।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে উপজেলার ভূল্যারহাট বাজারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা। অভিযুক্ত দাদন ব্যবসায়ী লাভলী বেগম উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের দক্ষিণ ভুল্ল্যারহাট এলাকার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া গ্রামবাসী জানান, লাভলী বেগম দীর্ঘদিন থেকে দাদন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিস্তার চরাঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষদের অভাবের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চরা সুদে দাদন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্ট্যাম্প ও চেকের বিপরীতে চরা সুদে টাকা দিয়ে কয়েকগুণ সুদাসল আদায় করার পরেও স্ট্যাম্প ও চেক মূলে মামলা করে ছিন্নমূলদের হয়রানি করে আসছে। তার রয়েছে বিশাল লাঠিয়াল বাহিনী। প্রতিবাদ করলে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে শায়েস্তা করে মিথ্যা মামলায় আসামি করে জেলে পাঠায়। দাদন ব্যবসায়ী লাভলী বেগম তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে মাদক ব্যবসাও নিয়ন্ত্রণ করেন। স্থানীয় তরুণীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্নভাবে ফাঁসিয়ে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করানো হচ্ছে। তার বাড়িতে মিনি পতিতালয় রয়েছে বলেও মানববন্ধনে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

চরা সুদ দিতে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। কয়েকজন তার দাবি পূরণে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। তার অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হয়। এসব কাজ সুকৌশলে সম্পন্ন করতে লাভলী বেগম স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সখ্যতাও গড়ে তুলেছেন বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ। তার এ অপকর্ম থেকে মুক্তি পেতে ভুক্তভোগী ও গ্রামবাসী বৃষ্টিতে ভিজে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভোটমারি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, ভোটমারি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবির হোসেন চৌধুরী, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহানুর রহমান মিঠুন, আনসার-ভিডিপির কমান্ডার সাইফুর রহমান, সমাজসেবক সাইদুল ইসলামসহ প্রমুখ।