ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে বিশেষ আইন ও ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল ধর্ষকের বিচারের দাবি এবং ধর্ষকদের বাঁচাতে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি পোড়ানোর প্রতিবাদে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’র উদ্যোগে কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এ দাবি জানান।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ষণকারীর কোন দল বা গোষ্ঠি নেই। তাদের একমাত্র পরিচয় তারা ধর্ষক। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়সহ দেশের যেকোন স্থানে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা বাধাগ্রস্ত হবে।

বক্তারা আরো বলেন, ধর্ষণের বিচারের দেশের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদের নামে বিএনপি-জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এতে ধর্ষণের বিচার চাওয়ার চেয়ে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রই বেশী দৃশ্যমান। তাদের এই অপচেষ্টার ফলে ধর্ষণের শিকার মা-বোনেরা সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

নারীর প্রতি সহিংসতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি থাকার পরেও যারা তাঁর ছবি পোড়ানো ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিস্মারক মুজিবকোট পোড়ানোর মত ধৃষ্টতা দেখিয়েছে এবং সরকার প্রধানের নামে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ্জ্জুামান শাহীন, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. কাজী সাইফুদ্দিন, জোবায়দা হক অজন্তা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম সজল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন মৃদুল, এনামুল হক মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমা আক্তার, কেন্দ্রীয় সদস্য কাজী রাজিম, কৃষি বিশ^বিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, বিআইডব্লিউটিসি শাখার সভাপতি মো. সালাহ উদ্দিন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি রাহাত কামাল, সাধারণ সম্পাদক মো. হোসেনুজ্জামান প্রমুখ।