পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তরে প্রেমিকাকে ধর্ষণ করার সময় প্রেমিক আটক হয়েছে। আজ সোমবার তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। প্রেমিক আষ্ট শ্রেনীর ছাত্র এবং প্রেমিকা নবম শ্রেনীর ছাত্রী বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর গ্রামের মৃত মান্নানের অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া কন্যার (১৬) সাথে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার দিয়াগারফা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র তানভীর আহমেদের (১৫) মোবাইলে প্রেমের সর্ম্পক হয়। রোববার রাতে তানভীর ওই বাড়িতে যায়। রাত ৯ টার দিকে প্রেমিকা জরুরী প্রয়োজনে তানভীরের শয়নকক্ষে যায়। নানা প্রলোভনে জোরপূর্বক তানভীর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তানভীরকে বাড়ির লোকজন ধরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষিতা ও ধর্ষক মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং তারপর এই ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আটক তানভীরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। মঙ্গলবার ধর্ষিকা স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে বলে ওসি জানিয়েছেন। এদিকে যৌণ হয়রানী নির্মূল করণ নেটওয়ার্ক, পাবনা এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা দোষী কিশোরের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জোর দাবী জানিয়েছে।