হঠাৎ করে সবার প্রোফাইলে ছবি দেখে মনে পড়ে গেল আমাদের প্রিয় প্রাচীন এই বিদ্যালয়টির কথা। উত্তর বঙ্গের অন্যতম প্রাচীন এবং জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৯৫ সালে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন সময় থেকে এ বিদ্যালয়টি জেলার বুকে অত্যন্ত সুনামের সাথে আজও টিকে আছে।২০১২ সালে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলাম। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করি এই বিদ্যালয়ে। সুদীর্ঘ এই ৫ বছরে আমাদের কাছে এই বিদ্যালয়টি একটি পরিবারে পরিণত হয়। ২০১৭ সালে এস.এস.সি.সি পরীক্ষার মাধ্যমে বিদায় গ্রহণ করি।

একজন আদর্শ নাগরিক হয়ে গড়ে উঠার জন্য আমাদের যা শেখার দরকার হরিমোহন আমাদের তাই শিখিয়েছে। এই বিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক সম্পর্কের মধ্যে রয়েছে অকৃত্রিম ভালবাসা। স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে অনেক স্মৃতিময় প্রেক্ষাপট। যা কখনো ভুলবার নয়। কয়েকটি স্মৃতি তুলে ধরলাম-

১. অভিভাবক তুল্য মাহবুবুল হক মিঠু স্যার এর ক্লাসের অপেক্ষায় বসে থাকা। কখন স্যার ক্লাস নিবেন এবং কখন তার জ্ঞানগর্ভ ক্লাস করতে পারব? এইসব চিন্তা হতো সবার মাথায়। সাথে সাথে তিনি বাড়ির কাজ দিতেন এই বাড়ির কাজ নিয়ে সবার মধ্যে পেরেশানি দেখা যেত।
২. নবম-দশম শ্রেণীতে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক রেজাউল করিম স্যার ইংরেজি পড়াতেন। তিনি নিয়মিত তার ক্লাসে passage er meaning and vocabulary ধরতেন। সবাই পড়া তৈরি করে রাখত।
৩. প্রথম ক্লাস শুরু হওয়ার সময় যখন টিফিন লিখে নিয়ে যেত। তখন থেকে সবাই বলতো টিফিনের সময় কখন আসবে?
৪. মাওলা ভাই যখন টিফিন লিখতে আসতো তখন ছোট্ট একটি হাসির কথা বলে সবাইকে হাসির পাগল বানিয়ে দিত।
৫. ভোজ পেটুকদের জন্য সবচেয়ে প্রিয় অনুষ্ঠান হল বার্ষিক ভোজ । পেট ভরে ইচ্ছেমতো খাওয়া-দাওয়া হয় এই দিনে।

দীর্ঘ ১২৫ বছরেও এই বিদ্যালয়টি আজও জেলার বুকে অত্যন্ত সুনামের সাথে টিকে আছে । আমাদের সবার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভবিষ্যতে এই বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখা সম্ভব ।

মোঃ আনসারুজ্জামান সিয়াম
শিক্ষার্থী,রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ