যাচাই-বাছাই শেষে ৫ থেকে ৭ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা বাদ যাবে। নতুন করে আরও কিছু মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। একই সঙ্গে আগামী নভেম্বরে ভোটার তালিকা প্রকাশ আর জানুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি জানান।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে আমরা সঠিক সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করতে পারিনি। আমাদের যাচাই বাছাই প্রায় সম্পূর্ণ। আমরা আশাবাদী আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে পারবো। যাচাই-বাছাই শেষে ৫ থেকে ৭ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা বাদ যাবে। নতুন করে আরও কিছু মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। যদি কেউ তালিকা থেকে বাদ পড়েন তারা আপিল করতে পারবেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আর সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনও গঠন করা হয়েছে।

আ.ক.ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স সম্প্রসারণে প্রধানমন্ত্রী এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী নকশার কাজ চলছে। আজকের বৈঠকে তা চূড়ান্ত করা হবে। মুজিবনগরে স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপনের জন্য আজকে জায়গা পরিদর্শন করবো। জমি অধিগ্রহণের জন্য আলোচনার ভিত্তিতে মুজিবনগরবাসীর চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কীভাবে কী করা যায়। তাছাড়া লেক কোথায় হবে, রাইডস কোথায় বসানো হবে সব কিছুর ম্যাপ আমাদের তৈরি করা হয়েছে। মূলত সেগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে ও জনগণের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে যাতে আমরা চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে মে মাসের ১ তারিখের মধ্যে তালিকা প্লানিং কমিশনে পাঠাতে পারি সেই প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি।

মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একটি পর্যালোচনা সভায় যোগ দেন মন্ত্রী। এতে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন।