বঙ্গোপোসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে দমকা হাওয়াসহ গত দুই দিনের মাঝারি বৃষ্টিপাতে রাণীনগরে চলতি মৌসুমের উঠতি রোপা আমন ধান জমিতে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ধানের শীষ বের হওয়ার সময় ধানগুলো জমিতে পড়ে যাওয়ায় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে চাষিরা।

দুই দফা বন্যায় এমনিতেই প্রায় ৩ শ হেক্টর জমির ধান আংশিক তলিয়ে যাওয়ার পর দ্রুতগতিতে পানি সরে যাওয়ায় চাষিরা নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে উঁচু জমিতে ধানগুলো রক্ষা পেলেও।

শেষ মহুর্তে নিম্নচাপ আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি সাথে দমকা হাওয়ার কারণে খেতের ধান পড়ে যাওয়ায়। এ যেন রাণীনগরের চাষিদের মরার উপর খাড়ার ঘা। কৃষি বিভাগ বলছে আবহাওয়া ভালো এবং রোদ বেশি হওয়া শুরু করলে ধানের তেমন ক্ষতি হবে না।

জানা গেছে, চলতি রোপা-আমন মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার ১শ ১৪ হেক্টর জমিতে রোপ আমন ধান লাগানো হয়। মধ্য জুলাইয়ে লাগাতার বৃষ্টিপাত আর নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার নান্দাইবাড়ি নামক স্থানে নদী রক্ষা বাধ ভেঙে যায়।

ফলে রাণীনগর উপজেলার বড় অংশ এবং আত্রাই উপজেলার বেশ কিছু অংশের প্রায় ৩শ হেক্টর জমির রোপা-আমন ধান তলিয়ে গেলেও প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ধান রক্ষা পায়। কিন্তু গত দুই দিনের নিম্ন চাপের কারণে রোপা-আমন ধান জমিতে বাতাসের তোড়ে পড়ে গেছে।

উপজেলার ভবাণীপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম জানান, আমি এক বিঘা জমিতে কাটারি ভোগ ধান লাগিয়েছি। পর্যায়ক্রমে ধানের শীষ বের হওয়ার মূহুর্তে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে সমদয় ধান জমিতে পড়ে গেছে। যার কারণে ফলন বির্পয়ের আশঙ্কা করছি। পাশ্ববর্তী মাঠগুলোতে একই অবস্থা। অনেক চাষিদের ধান জমিতে পড়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে এমনিতেই এই উপজেলায় রোপা আমন ধান লাগাতে দেরি হয়েছে। ধান লাগানোর কয়েক দিনের মধ্যে আবার বন্যার করাল গ্রাসে প্রায় ৩০০ হেক্টর রোপা-আমন ধান তলিয়ে যায়।

সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে উঠতি রোপা-আমন ধান অনেক কৃষকের জমিতে বাতাসের তোড়ে পড়ে গেছে। তাড়াতাড়ি আবহাওয়া ভালো হয়ে রোদ বের হলে ধানের তেমন ক্ষতি হবেনা বলে আশা করছি।