মীর আনিস/ফরিদপুর প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন । প্রধানমস্ত্রী ক্লান্তিহীন পরিশ্রমের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দরবারে রোল মডেল হিসাবে পরিচিত। আওয়ামীলীগের একজন মাঠকর্মী হিসেবে মধুখালী পৌরসভাকে আধুনিক পৌরসভা হিসেবে গড়তে চাই। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মধুখালী পৌরসভার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে সকল প্রস্তুতি নিচ্ছি ।

পৌরসভা নিয়ে স্বপ্নের কথা বলেছেন তরুন আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক আকসু জিএস শাহরিয়া রুমি রনি ।
সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেলেও মধুখালী পৌর সভার মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত আছেন শুধু সাবেক মেয়রের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে। জনগন পৌর খাজনা পরিশোধ করলেও ন্যুনতম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পৌরসভার উন্নয়ন বলতে কিছুই হয়নি, যা হয়েছে পৌর মেয়রের নিজস্ব কিছু ওর্য়াড কমিশনারের এলাকায়। সাবেক মেয়র ছিলেন ধনিক শ্রেণীর প্রতিনিধি , আমি হতে চাই জনগনের মেয়র। পৌর সভার প্রতিটি নাগরিকের জন্য আমার দরজা থাকবে খোলা। আমি মেয়র হলে আলোয় আলোকিত থাকবে পৌর এলাকা, ময়লার স্তুপ থাকবে না, ময়লা থাকবে ভাগাড়ে। কোন মাদক স্পট থাকবে না, চোর ডাকাত ও ছিনতাইকারী মুক্ত হবে পৌর এলাকা। উন্নয়ন হবে সমবন্টনের মাধ্যমে। পৌরবাসীরা ২৪ ঘন্টাই সেবা পাবেন।

রনি আরও বলেন দাদা মরহুম আইনউদ্দীন আহমেদ মধুখালী পৌর সভার ভিতরে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। মা সুরাইয়া সালাম সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, বর্তমানে জেলা পরিষদের সদস্য ও থানা মহিলালীগের সভানেত্রী, মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক জেলা মধখালীর সভানেত্রী। মা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। বাবা আব্দুস সালাম মিয়া থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। চাচা মরহুম আবুল কাসেম দলু মিয়া ছিলেন মধুখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। আমার পরিবার রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে মধুখালীর সকল কর্মকান্ডের জড়িত ও সামনে থেকে নেতৃত্বদানকারী। মা-বাবা ও চাচার দেখানো পথ ধরেই আমি রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে মধুখালীর সকল কর্মকান্ডের জড়িত থাকার চেষ্টা করেছি। পৌর মেয়র হয়ে আরও ওতপৌতভাবে জড়িত থাকতে চাই।

রনি আরও বলেন, পৌরসভার মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালানা করার কথা থাকলেও বাস্তবে আমরা কী দেখতে পাই? পুরো পৌর শহরটি ময়লা আবর্জনায় ভরপুর থাকে। দিনের ২৪ ঘন্টাই দুর্গন্ধ থাকে পৌর এলাকায়। ২০ টি কার্যাবলীর মধ্যে একটিও বাস্তবায়ন করেছে কীনা তাতে সন্দেহ রয়েছে। নাগরিকদের কাছ থেকে খাজনা নিচ্ছে অথচ নাগরিকরা কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না। এই অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না। একটি আধুনিক পৌরশহর গড়ে তোলার জন্যে সকল পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এজন্যেই আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।