আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ইউনিক আইডি (ইউআইডি) প্রদান করবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতোমধ্যে ১৮ বছরের উপরে, অর্থাৎ যারা ইতোমধ্যে নিবন্ধিত হয়েছেন, তাদের ১০ ডিজিটের ইউআইডি নম্বর তৈরি করা হয়েছে। যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে, অর্থাৎ এখনো ভোটার হননি, তাদের জন্য নিম্নলিখিতভাবে ইউআইডি করা হবে। পরবর্তীতে জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে প্রত্যেক শিশুর জন্য একটি করে ইউআইডি সিস্টেম রাখা হবে। ক্রমাণয়ে দেশের সকল নাগরিক একটি করে ইউআইডি পাবেন।

জানা গেছে, ইউনিক আইডি ফলে ব্যাংক হিসাব নম্বর, জন্মনিবন্ধন নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, টিন নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর, ভোটার নম্বরসহ এমন অসংখ্য নম্বর সংরক্ষণের প্রয়োজন হবে না। এই ইউআইডি দিয়েই চলবে সব কাজ। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ উইং বলছে, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইউআইডি ব্যবহার করা যাবে। শিশুর জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে ইউআইডি দেওয়া হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধিত হবেন, তখন তাকে ইউআইডি প্রদান করা হবে। ইউনিক আইডি নম্বর বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত করা হবে। জন্ম নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ একটি শিশুর জন্মের পরপরই এই ১০ ডিজিটের ইউআইডি প্রদান করবে। ইউআইডির জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের সিস্টেম এবং জন্ম নিবন্ধনের সিস্টেম দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রের এই সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত থাকবে।

১. যেসব ব্যক্তির বাবা-মা উভয়েরই এনআইডি নম্বর আছে, তাদের জন্য ব্যক্তির নাম, জন্ম তারিখ এবং বাবা-মায়ের এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ ইসির সার্ভারে পাঠাতে হবে। ইসির সার্ভার পিতা-মাতার এনআইডি নম্বর যাচাই করে ওই ব্যক্তির জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউআইডি নম্বর পাঠাবে।
২. যেসব ব্যক্তির বাবা অথবা মায়ের এনআইডি নম্বর আছে, তাদের ক্ষেত্রে ব্যক্তির নাম, জন্ম তারিখ এবং বাবা অথবা মায়ের এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ ইসির এনআইডি সার্ভারে পাঠাতে হবে। ইসির সার্ভার বাবা অথবা মায়ের এনআইডি নম্বর যাচাই করে ওই ব্যক্তির জন্য ইউআইডি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে পাঠাবে।
৩. যেসব ব্যক্তির বাবা অথবা মা কারও এনআইডি নম্বর নেই তাদের নাম, জন্ম তারিখ অথবা ভাই-বোন বা উপযুক্ত অভিভাবকের এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ ইসির সার্ভারে পাঠাতে হবে এবং ইসি সার্ভার পাঠানো এনআইডি নম্বর যাচাই করে ওই ব্যক্তির জন্য ইউআইডি পাঠাবে।

যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে, অর্থাৎ ইতোমধ্যে যারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তাদের ইউআইডির জন্য ব্যক্তির এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ ও ফিঙ্গার প্রিন্ট পাঠালে এর সঠিকতা যাচাই করে ওই ব্যক্তির ইউআইডি দেয়া হবে। অথবা কোনো ব্যক্তির এনআইডি নম্বর জন্ম তারিখ, বাবার নাম, মায়ের নাম ইসির সার্ভারে পাঠালে ওই ব্যক্তিকে ইউআইডি প্রদান করা হবে। বর্তমানে লেমিনেটিং কার্ড এবং স্মার্ট কার্ডে থাকা ১০ সংখ্যার এনআইডিটি ব্যক্তির ইউআইডি কার্ড।