গাজীপুরের কালীগঞ্জে ফুসকা কিনতে যাওয়া তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী এক শিশুকে (১০) দোকানে আটকে রাতভর ধর্ষণ করেছে এক ব্যবসায়ী। রবিবার পুলিশ ওই চটপটি বিক্রেতাকে আটক করেছে।

আটককৃতের নাম মজিবুর রহমান (৪৮)। সে কালীগঞ্জ উপজেলার পোটান এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। পাঁচ সন্তানের জনক মুজিবুরের দুই স্ত্রী রয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক ও শিশুটির স্বজনসহ স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর এলাকায় গাজীপুর-ইটাখোলা বাইপাস সড়ক ঘেঁষে গড়ে উঠা মুজিবুরের দোকান থেকে ফুসকা কিনতে যায় ১০ বছরের এক শিশু। শিশুটি স্থানীয় পোটান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী। এসময় ফুসকা ও চটপটি বিক্রেতা মুজিবুর কৌশলে শিশুটিকে একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে রাতভর ওই শিশুটির উপর পাশবিক নির্যাতন করে মুজিবুর। পরদিন রবিবার সকালে মুজিবুর নিজ মটর সাইকেলে নোয়াপাড়া বাজারে এলাকায় শিশুটিকে ছেড়ে আসে।

এদিকে দীর্ঘ সময়েও শিশুটি বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। শিশুটিকে না পেয়ে তারা এলাকায় মাইকিং করে। পরদিন রবিবার সকালে নোয়াপাড়া বাজার এলাকা হতে শিশুটিকে তার বাবা মা ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বিকেলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় শিশুটি তার উপর রাতভর পাশবিক নির্যাতনের বিস্তারিত ঘটনা পুলিশ ও স্বজনদের জানায়। এরপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্ত চটপটি ব্যবসায়ী মুজিবুরকে রবিবার তার বাড়ি থেকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।