গাজীপুরে মঙ্গলবার পৃথক ঘটনায় নদীতে ডুবে এক শিশু নিহত ও এক বৃদ্ধ নিখোঁজ হয়েছে। নিহতের নাম শিখা রাণী বর্মন (৮)। সে দিনাজপুরের কাহারোল থানার নিমাইল গ্রামের সুবল বর্মনের মেয়ে।

জিএমপি’র কোনাবাড়ি থানার ওসি এমদাদ হোসেন ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাইমাইল এলাকার মোফাজ্জলের বাসায় স্বপরিবারে ভাড়া থেকে সুবল বর্মন এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নানী ও খালাতো ভাইবোনের সঙ্গে বাসার পাশে ঢংকা বিলের উৎস মুখ বালু নদের পাড়ে শাক তুলতে যায় শিখা রাণী বর্মন। এসময় মাছ ধরা দেখতে অপর এক শিশুর সঙ্গে ওই নদের তীরে পানি দিয়ে হেটে যাচ্ছিল শিখা। তারা পানি দিয়ে হাটার সময় পা পিছলে পানির নীচে প্রায় ২৫ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যায় পানিতে তলিয়ে যায় শিখা। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার খালাতো ভাই সনজিত বর্মনও (২০) পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় সনজিতকে উদ্ধার করতে পারলেও শিখার সন্ধান পায়নি। সনজিতকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে পৌছে দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজি করে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে শিখার লাশ উদ্ধার করে।

এদিকে একই দিন বাড়ি ফেরার পথে সাঁতরিয়ে নদী পার হওয়ার সময় তুরাগ নদীতে ডুবে এক বৃদ্ধ নিখোঁজ হয়েছেন। তার নাম মতিউর রহমান (৭০)। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর ইউনিয়নের টেকিবাড়ি চানপুর এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে। কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার কবিরুল আলম ও নিখোঁজ ব্যক্তির ভাই আজহারুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশর্^বর্তী তুরাগ নদীর অপর পাড়ে জমি পরিচর্যা করতে যান মতিউর। বেলা ১১টার দিকে আড়াআড়ি পথে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। পথে সাঁতরিয়ে তুরাগ নদী পার হওয়ার সময় তিনি পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হন। স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল হতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে পৌছে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও তার খোঁজ পায়নি। অন্ধকার হওয়ায় তারা সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত রেখে ফিরে যায়। বুধবার সকালে পুনঃরায় অভিযান শুরুর কথা রয়েছে।