পুলিশিংয়ের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুপারভিশন ও মনিটরিং বাড়িয়ে জনগণকে দ্রুততম সময়ে উন্নত সেবা প্রদানের জন্য বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময়ের তৃতীয় ও শেষ দিনে সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ নির্দেশ দেন।

আইজিপি তার পাঁচ নির্দেশনা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘জনগণের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ ও শারীরিক নির্যাতন করা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আইন প্রয়োগে আইনি সক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে। মানুষের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে। ভালো কাজ করলে মানুষ যে প্রশংসা করে তার প্রমাণ আমরা করোনাকালে দেখেছি। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে দেশকে মাদকমুক্ত করতে হবে।’

পুলিশ প্রধান বলেন, ‘পুলিশি সেবা দেশের জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশকে ৬ হাজার ৯১২টি বিটে ভাগ করে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদেরকে দুর্নীতিমুক্ত থাকতে হবে। বর্তমানে প্রচলিত কল্যাণের ধারণা থেকে বেরিয়ে পুলিশ সদস্যদের চাকরিকালীন এবং বৃহত্তর কল্যাণের ব্যবস্থা করা হবে।’

আইজিপি বলেন, ‘একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। শৃঙ্খলার সাথে “ওয়েলফেয়ার”কে গুলিয়ে ফেলা যাবে না।’

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশের প্রশিক্ষণে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। প্রশিক্ষণকে আরও প্রায়োগিক এবং কাঠামোবদ্ধ করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, হার্ভার্ডসহ আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পুলিশ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে জনগণকে আরও উন্নত ও আধুনিক পুলিশি সেবা দিতে পারে।’ পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষ সাধনের জন্য তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে নিয়মিত পড়াশোনা করার পরামর্শ দেন।

উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের ‘ফিউচার লিডার্স’ আখ্যায়িত করে আইজিপি বলেন, ‘আমরা অনেক দূরে এসেছি, বাংলাদেশ পুলিশকে বহুদূর নিয়ে যেতে হবে। দেশ ও দেশের জনগণকে সেবা দেওয়ার চেতনা নিয়ে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে হবে। গর্ব নিয়ে চাকরি করতে হবে, চাকরিতে “প্রাইড” নিয়ে আসতে হবে।’

ডিএমপিকে ‘মিরর অব বাংলাদেশ পুলিশ’ অভিহিত করে আইজিপি আরও বলেন, ‘এই ইউনিটের গুরুত্ব উপলব্ধি করে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’