বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) “জৈব বালাইনাশক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফল ও শাক-সবজির পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান অপু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম।

বারি’র পরিচালক (ডাল গবেষণা কেন্দ্র) ও প্রকল্প পরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) মো. হাবিবুর রহমান শেখ, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম। কীটতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আখতারুজ্জামান সরকারের সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কীটতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. নির্মল কুমার দত্ত।

‘বাংলাদেশে শাক-সবজি, ফল ও পান ফসলের পোকমাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনায় জৈব বালাইনাশক ভিত্তিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প’ এর অর্থায়নে বারি’র কীটতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় গাজীপুর জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠাণে বক্তারা বলেন, দেশে ফসলের পোকা-মাকড় রোধের নামে রাসায়নিক কীটনাশকের অপব্যবহার হচ্ছে। এই অপব্যবহার কিভাবে রোধ করা যায় সে লক্ষ্যেই আজকের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন। মুজিব বর্ষে আমাদের লক্ষ্য সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। আর এ জন্য প্রয়োজন রাসায়নিক কীটনাশকের বিকল্প পদ্ধতি উদ্ভাবন। ইতোমধ্যে বারি’র কীটতত্ত্ব বিভাগের বিজ্ঞানীরা রাসায়নিক কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন ধরনের জৈব বালাইনাশক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে। আমরা চাই এই কর্মশালার মাধ্যমে তা এই প্রশিক্ষণার্থীদের মাধ্যমে সকলের কাছে পৌছে দিতে।