বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)’র ২২তম প্রতিষ্ঠা দিবস রবিবার আনন্দ উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এ দিনটিতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সালনাস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন চত্বরের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন, কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে এসে শেষ হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোঃ খোরশেদ আলম ভূঁঞার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া।

ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া বলেন, কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিগত ২২ বছরে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার গুণগতমান ও গবেষণায় সাফল্যের সঙ্গে সুনাম অক্ষুন্ন রেখে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যার মাধ্যমে অধিকতর উন্নত গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ, ইউজিসি প্রফেসর ও সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মোঃ আব্দুল মান্নান আকন্দ এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম বিগত ২২ বছরের সাফল্য তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ সিরাজুল ইসলাম তালুকদার।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদীয় ডীন, পরিচালক, প্রক্টর, প্রভোস্ট, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

দুপুরে বাদ যোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।