সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ১৩টি দেশের নাগরিকদের নতুন ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। মূলত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এসব দেশের মধ্যে রয়েছে ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান, সিরিয়া এবং সোমালিয়া। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি বিজনেস পার্ক-এর জারি করা এক নোটিশ হাতে পাওয়ার বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

দীর্ঘদিনের অবস্থানের বদল ঘটিয়ে সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর পাশাপাশি দেশটিতে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানা আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে বিদেশিদের বিনিয়োগকৃত ব্যবসায় শতভাগ মালিকানা পাওয়ার সুযোগ দিয়ে আইন সংস্কারও করেছে দেশটি। এর মধ্যেই দেশটিতে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর নাগরিকদের প্রবেশের সুযোগ সীমিত হওয়ার কথা জানা গেছে।

আমিরাতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিজনেস পার্ক কর্তৃপক্ষ সেখানে পরিচালনারত কোম্পানিগুলোর কাছে একটি নোটিশ পাঠিয়ে ওই দেশগুলোর নাগরিকদের নতুন করে ভিসা প্রদান বন্ধ থাকার কথা জানানো হয়েছে। ওই নোটিশে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তির কথা উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, গত ১৮ নভেম্বর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। ওই নোটিশে জানানো হয়েছে, এসব দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত এবং ভ্রমণ ভিসাও পরবর্তী নোটিশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত থাকবে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, আলজেরিয়া, কেনিয়া, ইরাক, লেবানন, পাকিস্তান ও তিউনিসিয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে নিরাপত্তা জনিত উদ্বেগ থেকে ১৩টি দেশের নাগরিকদের নতুন ভিসা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এসব উদ্বেগ কী তা স্পষ্ট করেনি সূত্রটি। তবে জানিয়েছে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তাদেরসহ আরও কয়েকটি দেশের নাগরিকদের নতুন ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির কাছে এর কারণ জানতে চাওয়ার কথা জানিয়ে ইসলামাবাদ জানায় তাদের ধারণা করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে এটি বন্ধ রাখা হতে পারে বলে ধারণা করছে তারা।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আমিরাতের সূত্রটি জানিয়েছে, নতুন ভিসা বন্ধ রাখা হলেও এসব দেশের যে নাগরিকেরা ইতোমধ্যে বৈধ ভিসা পেয়ে গেছেন তারা আক্রান্ত হবেন না এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে পারবেন।